| |
               

মূল পাতা শিক্ষাঙ্গন সরকারি মাদরাসা-ই-আলিয়া প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি


সরকারি মাদরাসা-ই-আলিয়া প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি


রহমত ডেস্ক     05 March, 2022     05:32 PM    


বর্তমান অধ্যক্ষের আর্থিক দূর্নীতির জন্য রাজধানীর বকশীবাজারে অবস্থিত সরকারি মাদরাসা-ই-আলিয়ার কর্তৃপক্ষকে পাঁচ দফা দাবিসহ ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে সাবেক শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে মাদরাসার হল সুপার ও তার বাসভবন ভেঙ্গে ফেলার 'ওয়ার্ক অর্ডার' ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাতিল করার ঘোষণার জোর দাবি জানিয়েছেন তারা। দাবিগুলো হলো— ১. বর্তমান অধ্যক্ষের আর্থিক দুর্নীতির (তদন্তে প্রমাণিত) কারণে তাকে অবিলম্বে চাকরিচ্যুত করতে হবে এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের মাধ্যমে সুষ্ঠু অনুসন্ধান করে বিচারের কাঠগড়ায় আনতে হবে। ২. মাদরাসার হল সুপার ও সহ হল সুপারের বাসভবন ভেঙে ফেলার ওয়ার্ক অর্ডার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাতিল ঘোষণা করতে হবে। ৩. ছাত্রদের নামে দায়ের করা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। ৪. মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড, জেল সুপার ও সিটি কর্পোরেশনের দখল করা আলিয়া মাদরাসার জমি আগামী তিন মাসের মধ্যে ফেরত দিতে হবে। ৫. ছাত্রছাত্রীদের জন্য আরও আবাসিক হল নির্মাণ করতে হবে। কর্মসূচিগুলো হলো— ১. মাদরাসা অধ্যক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ ২. সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে মানববন্ধন ৩. ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে ধর্মঘট ৪. রাজপথে অবস্থান ধর্মঘট ৫. অনশন ধর্মঘট।

আজ (৫ মার্চ) শনিবার  ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউর নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কমিটির ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগেও ঢাকার আলিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থীদের তাদের ৫ দফা দাবি আদায়ে মানববন্ধন বকশীবাজার মোড়ে কয়েক বার মানববন্ধন করতে দেখা যায়। আগামীকাল রোববার বেলা ১২ টাতেও ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নে ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন বলে জানান আলিয়া মাদরাসা সুরক্ষা কমিটির নেতৃবৃন্দরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে  আলিয়া মাদরাসা সুরক্ষা কমিটির আহ্বায়ক আবদুছ ছবুর মাতুব্বর বলেন, রাজধানীর বকশিবাজারে অবস্থিত সরকারি মাদরাসা-ই-আলিয়া ঢাকা দীর্ঘ আড়াইশ বছরের পুরোনো একটি ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিশাল এ মাদরাসার কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর জন্য একটি মাত্র আবাসিক হল রয়েছে। যার নাম আল্লামা কাশগারী ছাত্রাবাস। কিন্তু স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি আওয়ামী লীগ সরকারের মধ্যে লুকিয়ে থাকা কিছু সংখ্যক কুচক্রি মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে পড়েছে মাদরাসাটি। তারা মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ভবন তৈরি করার নামে একমাত্র ছাত্রাবাস আল্লামা কাশগারী হলের সুপার ও সহ-সুপারের বাস ভবন ভেঙে ফেলার জন্য দরপত্র দিয়েছে, এরপর ওয়ার্ক অর্ডার (কার্যাদেশ) ইস্যু করেছে। আমরা সাবেক ছাত্ররাসহ আলিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থীরা এ সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা এ সিদ্ধান্তকে আলিয়া মাদরাসা ধ্বংসের একটি গভীর ষড়যন্ত্র মনে করছি। ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র বন্ধ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

তিনি আরো বলেন, আমাদের দাবি উপেক্ষা করে যারা পেপার চালাচালি করেছে, মাদরাসা প্রাঙ্গণে পুলিশ এনেছে, ছাত্রদের ওপর হামলা চালিয়েছে তারাই কুচক্রি মহল। তারা মাদরাসা ছাত্রাবাস থেকে ছাত্রদের জোরপূর্বক বের করে দিয়েছিল, যদিও পরে ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে কর্তৃপক্ষ হল খুলে দিতে বাধ্য হয়। হোস্টেল সুপার ও সহ সুপারকে তাদের বাসভবন থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। মাদরাসার একাডেমিক প্রধান হেড মাওলানা অধ্যাপক আবদুল মান্নান এবং হোস্টেল সুপার মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমানকে ওএসডি করা হয়েছে। আন্দোলনরত ছাত্রদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। হোস্টেল সুপার এবং হোস্টেল সহ সুপারের বাসভবন বিক্রির দরপত্র আহ্বান করে ইতোমধ্যে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা বর্তমান শিক্ষার্থীদের কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করছি। আলিয়া মাদরাসা শিক্ষার আন্দোলনকে আরও বেগবান করার লক্ষ্যে সাবেকদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করছি। যার নাম হবে ‘আলিয়া মাদরাসা সুরক্ষা কমিটি’। আগামীকাল (রোববার) দুপুর ১২টায় আলিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গণে বর্তমান শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করবে। আমরা তাতে সংহতি প্রকাশ করছি।