| |
               

মূল পাতা সারাদেশ উন্নয়নের জন্য সরকারের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন : মঞ্জু


উন্নয়নের জন্য সরকারের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন : মঞ্জু


রহমত ডেস্ক     26 February, 2022     11:46 AM    


জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপি বলেছেন, পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্রব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা ও সরকারের ধারাবাহিকতা থাকা প্রয়োজন। এলাকার মানুষের চাহিদা অনুযায়ী সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা করা গেলে উন্নয়নক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয়। দক্ষিণাঞ্চলসহ সারা দেশে যে দৃশ্যমান উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে তা এই স্থিতিশীলতা ও ধারাবাহিকতারই সুফল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান ১৩ বছর ও আগের পাঁচ বছরের সরকারে নিরবচ্ছিন্নভাবে থাকার সুবাদে আমরা দেশে উন্নয়নের একটি পরিকল্পিত সাফল্য অর্জনে সক্ষম হয়েছি। যার মধ্যে অবহেলিত দক্ষিণাঞ্চলের জনজীবনে প্রণিধানযোগ্য পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যত বেশি বেশি দিন আল্লাহর রহমতে সরকারে থাকবেন তত বেশি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের ধারা আরো বেগবান ও সংহত হবে। তাই আমাদের সবার চিন্তা-কথা ও কাজে যে বিষয়টি প্রাধান্য পাওয়া উচিত তা হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার যাতে ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় থাকতে পারে। আমাদের আল্লাহর কাছে প্রার্থনা হবে তিনি সুস্থতা ও কর্মক্ষমতা বজায় রেখে যাতে দীর্ঘদিন সরকার পরিচালনা করতে সক্ষম হন।

শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়া ও কাউখালী উপজেলার সীমান্তবর্তী উত্তর ভিটাবাড়িয়ায় এক সুধীসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্থানীয় বিশিষ্ট সমাজকর্মী মো. মহসিন আকনের সভাপতিত্বে সুধীসমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন কাউখালী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা জেপির সভাপতি আবু সাঈদ মিয়া মনু, ভাণ্ডারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফাইজুর রশীদ খসরু, ভাণ্ডারিয়া উপজেলা জেপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক গোলাম সরওয়ার জোমাদ্দার, সদস্যসচিব ও ধাওয়া ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান টুলু, ভাণ্ডারিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মশিউর রহমান জোমাদ্দার, আওয়ামী লীগ নেতা হাফিজুর রশীদ তারিক, কাউখালীর শিয়ালকাঠি ইউপি চেয়ারম্যান জেপি নেতা সিকদার মো. দেলোয়ার, ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়ন জেপির সভাপতি রেজা আহমেদ দুলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মামুন হাওলাদার প্রমুখ। সুধীসমাবেশ পরিচালনা করেন ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়ন জেপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাব্বির। মঞ্চে ছিলেন কাউখালীর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. খালেদা খাতুন রেখা ও ভাণ্ডারিয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সীমা রানী ধর। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভাণ্ডারিয়া জেপি নেতা ইউসুফ আলী আকন, ভিটাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান খান এনামুল করিম পান্না, তেলিখালী ইউপি চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন হাওলাদার, ভাণ্ডারিয়া উপজেলা যুব সংহতির আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের সদস্য রেজাউল হক রেজভী জোমাদ্দার ও সদস্যসচিব মামুনুর রশীদ সরদার, কাউখালীর আমরাজুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন, কাউখালী জেপির সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুরুল মাহফুজ পায়েল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান নান্নু, শিয়ালকাঠি ইউনিয়ন জেপির সভাপতি হেমায়েত হোসেন তালুকদার, যুব সংহতির নেতা জিয়াউল হাসান জুয়েল, মিজানুর রহমান, নূরুজ্জামান মনু, ছাত্র সমাজের নেতা শেখ কাইয়ূম প্রমুখ।

মঞ্জু বলেন,আমরা ৩৪ বছর ধরে সংসদে এবং ১৮ বছর সরকারে থেকে যে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে সম্পাদন করেছি তা হলো, মানুষের মৌলিক প্রয়োজনগুলো পূরণ করা। এই দীর্ঘ সময় ধরে আল্লাহ আমাদের মানুষের জীবনমানের উন্নয়নসাধনে বিরল সুযোগ দিয়েছেন। যার জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি শুকরিয়া জানাই। এই সময়কালে এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে কাজ করার ফলে যা আমরা উপলব্ধি করেছি, তা হলো স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বাররা কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ের কর্মক্ষম। তারা উন্নয়ন কাজ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা তথা মানুষের সেবায় আন্তরিকভাবে সহায়তা করেছেন। একটি এলাকার সার্বিক সামাজিক পরিবর্তনে স্থানীয় নেতৃত্বের এ ধরনের ভূমিকা থাকাই বাঞ্ছনীয়। যে কারণে আমরা মানুষের কল্যাণে ধারাবাহিক ও স্থায়িত্বশীল পরিকল্পিত কাজ সম্পাদনে সক্ষম হয়েছি। আমাদের দৃঢ়বিশ্বাস ও আশাবাদ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এই সক্ষমতা ভবিষ্যতে আরো বৃদ্ধি পাবে এবং এলাকার মানুষ তার সুফল লাভ করবে।

তিনি আরো বলেন, ‘৩৪ বছর আগে এরশাদ সরকারের সময় আমরা মানুষের কল্যাণে যে কাজ শুরু করেছিলাম তা শেখ হাসিনার সরকারের সময় বহুলাংশে সম্পন্ন করতে সমর্থ হয়েছি। এ সময়কালে রাস্তাঘাটসহ যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণ, প্রত্যন্ত গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের অবকাঠামোগত ব্যাপক পরিবর্তন, স্বাস্থ্যক্ষেত্র ও মসজিদ-মন্দির স্থাপনা, সাংস্কৃতিক বিকাশের জন্য বিভিন্ন স্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় বিভিন্ন বেড়িবাঁধ নির্মাণসহ অভিযোজন প্রক্রিয়া সম্পন্নকরণ ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে বহু উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে এবং অব্যাহত রয়েছে। আমি যখন প্রথম এলাকায় আসি তখন কাজ শুরু করা দুরূহ ছিল। এলাকার মানুষের সহায়তায় তার পরও পরিকল্পিত উন্নয়ন চলমান রাখতে আমাদের সাফল্য অনেক। গ্রাম-গ্রামান্তরে রাস্তাঘাট নির্মাণ এবং ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানো এর সবকিছুরই সুফল কাজে লাগাতে হবে। এই সুযোগকে ব্যবহার করে রাস্তাঘাটের পাশে গ্রামে গ্রামে পাকা বাড়িঘর পরিকল্পিতভাবে তৈরি করতে হবে। জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে স্থানীয় নেতৃত্বের বিশেষ দায়িত্ব নিতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে যে ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তার সদ্ব্যবহার করে ছেলেমেয়েদের শিক্ষিত করা আবশ্যক। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের এই নাগরিকদের সুন্দর জীবন নিশ্চিত করতে আমাদের দায়িত্ব অনেক। এই শিক্ষার সুযোগ যাতে ব্যাহত না হয়, ব্যবসা-বাণিজ্য যাতে বন্ধ না হয় তার জন্য রাজনীতির অপচর্চা বর্জন করা উচিত। মূল উত্পাটনের রাজনীতি, ঘৃণা ছড়ানোর অভ্যাস যদি আমরা বর্জন না করি তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে গতিতে চলছেন তা কমে যাবে। তাই ঐক্যের রাজনীতি গঠনমূলক আচরণ তথা সেবাধর্মী কাজে আমাদের ব্রতী হওয়া উচিত। পাশাপাশি বেশি বেশি রাজনীতির এই নেতিবাচকতা থেকে বিরত থেকে সমাজে শান্তি বজায় রাখা সবার দায়িত্ব।


এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: বরিশাল পিরোজপুর ভান্ডারিয়া