রহমত ডেস্ক 23 February, 2022 05:51 PM
ডিবির প্রধান ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেছেন, অনলাইন জুয়ার কারণে ডমেস্টিক ভায়োলেন্স বাড়ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে। দেশেরজুয়ার সাইটগুলো রাশিয়া, ইন্দ্রোনেশিয়া ও ভারত থেকে পরিচালিত হয়। আমাদের দেশে যারা থাকেন, তারা মাস্টার এজেন্ট। বিদেশে যারা পরিচালনা করেন, তারা সুপার এজেন্ট। যখন আইপিএল ও বিপিএল খেলাগুলো চলে তখন তারা বাজি ধরে।
আজ (২৩ ফেব্রুয়ারি) বুধবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি অনলাইন জুয়ার দেশীয় মাস্টার এজেন্টসহ তিন ব্যক্তিকে ঢাকার খিলগাঁও এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ডিবি। তারা হলেন— তরিকুল ইসলাম বাবু (২৮), রানা হামিদ (২৬) ও সুমন মিয়া (২৫)। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেট কার, নগদ ১১ লাখ ৮০ হাজার টাকা, ৪টি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল ফোন, ৫টি সিম কার্ড, বিভিন্ন ব্যাংকের ১৩টি অ্যাকাউন্ট নম্বর ও ২৩টি মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়।
ডিবি বলছে, এই ব্যক্তিরা দেশে বিভিন্ন লিংকের মাধ্যমে অনলাইনে জুয়া পরিচালনা করতেন। তবে এই অনলাইন জোয়ার এডমিন পরিচালনা করা হতো রাশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া ও ভারত থেকে। চক্রটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং মোবাইল ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলোতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা লেনদেন করেছে। তরিকুল রানা ও সুমন অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে গাড়ি-বাড়ি-জমি করেছে।
হাফিজ আক্তার বলেন, এ চক্রটির আমরা তিন জনকে গ্রেফতার করেছি। এখনও ৫০ থেকে ৬০ জন পলাতক আছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।তারা এখন পর্যন্ত ৩০ থেকে ৩৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। জুয়ার সাইটগুলোর এডমিন রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ভারতে। বিটিআরসির মাধ্যমে আমরা বন্ধের চেষ্টা করবো। এ ক্ষেত্রে মনিটরিং বাড়াতে হবে। গ্রেফতার হওয়াদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়েছে। তারা রিমান্ডে রয়েছে।