নিজস্ব প্রতিনিধি 16 February, 2022 07:39 AM
পঞ্চগড়ের আহমদ নগরে কাদিয়ানিদের ৩ দিনব্যাপী ইসলাম বিধ্বংসী সম্মেলন বন্ধ করতে সরকারের প্রতি দাবী জানিয়েছেন মধুপুরের পীর ও খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আমীর আল্লামা আব্দুল হামীদ।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, কাদিয়ানী সম্প্রদায় যে অমুসলিম একথা এখন দিবালোকের ন্যায় পরিষ্কার। ভারত-পাকিস্তান সহ আরব বিশ্বের সকল ওলামায়ে কেরাম একমত, কাদিয়ানী সম্প্রদায় কাফের। তাদের কুফরটা কুফরে বাওয়াহা। যারা তাদেরকে কাফের মনে করবে না তারাও কাফের।
ধুপুরের পীর বলেন, মুসলমান নামধারী এই কাফের সম্প্রদায়টি বিগত ৬০/৭০ বছর ধরে বাংলাদেশের মতো ৯২% মুসলমানের দেশে নিজেদেরকে মুসলিম দাবি করে সাধারণ মুসলমানদের ঈমান-আকিদা নষ্ট করার পাঁয়তারা করে চলেছে। ইতিমধ্যেই অসংখ্য সাধারণ মুসলমানকে তারা কাদিয়ানী বানিয়ে ফেলেছে। কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী তার এক বইয়ে লিখেন 'যারা তাকে শেষ নবী বলে বিশ্বাস করবে না তারা কাফের ও জারজ সন্তান" নাউজুবিল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দেশের সরকার প্রধান থেকে নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সহ সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তা অধিকাংশই মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের এতবড় ঈমান বিধ্বংসী ও রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্যের কেউ কোন প্রতিবাদ করছে না। এই কাফের সম্প্রদায়টি বিশ্বনবী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আখেরী নবী না মানার পরেও কিভাবে নিজেদেরকে মুসলমান দাবি করে, এবং মুসলমানদেরকে এভাবে ধোঁকা দেওয়ার দুঃসাহস তারা কোত্থেকে পায় তা খতিয়ে দেখতে হবে।শুধু তাই নয় কুরআন, সুন্নাহ, ইসলামী ফিকহ ও ফতোয়ার আলোকে প্রমাণিত অসংখ্য মাসআলা তারা অস্বীকার করে, যা মুসলমানের ঈমান ও আমলের উপর মারাত্মকভাবে আঘাতের শামিল। এতদসত্ত্বেও প্রশাসনের ছত্রছায়ায় এই মুসলিম বিদ্বেষী সম্প্রদায়টি প্রকাশ্যে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
আল্লামা আব্দুল হামীদ বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই দেশে মুসলমানদের মাঝে ধর্মীয় উস্কানী দিয়ে একটি অসাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য প্রতি বছর একটি ইসলাম বিধ্বংসী সম্মেলন আয়োজন করে মুসলমানদেরকে উত্তেজিত করার পায়তারা করে বেড়াচ্ছে। এহেন মূহুর্তে মুসলমানদের ঈমান ও আকিদা হেফাজতের জন্য অমুসলিম কাদিয়ানীদের বার্ষিক সম্মেলন বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি।