| |
               

মূল পাতা শিক্ষাঙ্গন বেফাকের জন্য ইবতেদাইয়্যাহ শিক্ষার্থীরা কিভাবে প্রস্তুতি নেবে?


বেফাকের জন্য ইবতেদাইয়্যাহ শিক্ষার্থীরা কিভাবে প্রস্তুতি নেবে?


মুফতী জসীম উদ্দীন     13 February, 2022     08:15 PM    


ইবতেদাইয়্যাহ জামাতের ছাত্রদের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা তথা বেফাক পরিক্ষা একমাস পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রত্যেক ছাত্রের আশা থাকে ভালো ফলাফল অর্জন করে শীর্ষস্থান দখল করতঃ নিজ ক্যারিয়ার সমৃদ্ধিকরণ,প্রতিষ্ঠানের সুনাম বৃদ্ধি এবং মাতা-পিতার মুখ সমুজ্জল করা। তাই ভালো ফলাফল অর্জনের পূর্বশর্ত হচ্ছে,ভালোভাবে প্রস্তুতি নেয়া।

কিভাবে প্রস্তুতি নেব?

রুটিন করে পড়া : ভালো ফলাফল অর্জনের জন্য রুটিনের কোন বিকল্প নেই। তাই রুটিনের মধ্যে পড়া-লেখার পাশাপাশি খাবার ও পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের সময় রাখতে হবে।অন্যথায় স্বাস্থহানীর ফলে পরীক্ষায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হতে পারে।

কোন কিতাব কিভাবে পড়বে?

ফার্সী পহেলি : তাইসীরুল মুবতাদীর ক্ষেত্রে মাছদারগুলো ভালোভাবে আত্মস্থ করতে হবে। বহছ ও সীগার গঠনপ্রণালী সমূহ রপ্ত করে ফার্সী পহেলিতে ফিট করতে হবে। প্রত্যেক বহছের সীগাগুলো মনে রাখার সুবিধার্থে যে কোন একটি মাছদার দিয়ে প্রত্যেক বহছের প্রথম সীগাটি মনে রাখতে হবে। ফার্সী পহেলির মাযী মুতলাকের বহছ থেকে লোকমান আলাইহিস সালামের নসীহতের আগ পর্যন্ত ইবারতসহ মুখস্থ রাখতে হবে। যার ফলে শূন্যস্থান পূরণ, ফার্সী অনুবাদ, বিশুদ্ধ বাক্যরচনা ও ফার্সীতে উত্তর প্রদানসহ পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর আয়ত্ত হয়ে যাবে।

উর্দূ কি তেসরী : এই কিতাবের প্রথম ত্রিশ পৃষ্ঠা ইবারতসহ মুখস্ত রাখার পাশাপাশি যেকোন একটি কবিতা, পাঁচটি হাদীস, সাহাবীদের ঘটনাগুলো আত্মস্থ করতে হবে।

তালীমুল ইসলাম : এটার প্রশ্নগুলো একে অপরের সাথে মুযাকারা করার দ্বারা স্বরণ রাখতে সহজ হবে এবং মাঝে মাঝে লিখে উস্তাদজীকে দেখিয়ে নির্ভুল করাও ভালোফলাফল অর্জনের পূর্বতম শর্ত।

বাংলা অংক ইত্যাদি সাবজেক্টগুলো বারবার অনুশীলন করা। বিশেষ করে বাংলা ব্যাকরণ,রচনা ইত্যাদির উপস্থাপনাগুলো সুন্দর ও সাবলীলভাবে করা।

ভালো ফলাফল অর্জনের জন্য করণীয় :

১. প্রবাদ আছে, হস্তলিপি সুন্দর যার,শীর্ষস্থান দখল তার।তাই সর্বোচ্চ নম্বর লাভ করার জন্য কাট-ছাটমুক্ত হাতের সুন্দর লেখা অপরিহার্য।
২. কমপক্ষে বিগত দশ বছরের প্রশ্নগুলোর অনুশীলন করা। যেহেতু তারা নবীন বিধায় সেগুলোর দ্বারা পরীক্ষার ধরণ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ হয়।
৩. আত্মপ্রত্যয়ী হওয়া হীনমন্যতা না রাখা।
৪. প্রত্যেক কিতাব ভালোভাবে বুঝে পড়া।

পরীক্ষার সরঞ্জামাদী সংগ্রহ :  পরীক্ষার কেন্দ্রে যাওয়ার আগে প্রবেশপত্রসহ প্রয়োজনীয় জিনিষ গুছিয়ে রাখা। অন্যথায় পরীক্ষার হলে প্রবেশের পূর্বে মারাত্মক পেরেশানীতে পড়তে হয়।

পরীক্ষার হলে করণীয় :
ক. পরীক্ষার খাতা হাতে পাবার পর সর্বপ্রথম কাজ হলো; রেজিস্ট্রেশন নম্বর, মারহালা,বিষয় ও কিতাবের নাম ইত্যাদির ঘরগুলো নির্ভুলভাবে পূর্ণ করা।পরে লেখার জন্য এ কাজগুলো কোনভাবে ফেলে রাখা যাবেনা।

খ. পুরো প্রশ্নপত্র ভালো করে একবার পড়ে তারপর উত্তর লেখা।যে প্রশ্ন বেশি সহজ সেটির উত্তর আগে লেখা।

গ. প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরের জন্য সময় নির্ধারণ করে নিবে।

ঘ. দ্বিতীয়বার উত্তরপত্র দেখার জন্য কিছুসময় রাখা।

সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো : ঘাবড়ে না গিয়ে ,টেনশন না করে শান্তভাবে পরীক্ষা দিবে । তা না হলে জানা ও ভালোভাবে পড়া প্রশ্নের উত্তরও তালগোল পাকিয়ে যেতে পারে। তাই একজন ছাত্র মনোযোগ সহকারে লেখাপড়া করার পর উপরোক্ত বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখলে পরীক্ষায় শতভাগ সাফল্যের আশা করা যায়।

লেখক : উস্তাদ, জামিয়া নুরিয়া ইসলামিয়া আশরাফাবাদ, কামরাঙ্গীরচর,ঢাকা