| |
               

মূল পাতা জাতীয় রেলওয়েতে বিড়ি-সিগারেট খাওয়া নিষেধ : রেলমন্ত্রী


রেলওয়েতে বিড়ি-সিগারেট খাওয়া নিষেধ : রেলমন্ত্রী


রহমত ডেস্ক     09 February, 2022     07:02 PM    


রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, রেলওয়ে স্টেশন, প্ল্যাটফর্ম এবং ট্রেনের কামরাসহ সমস্ত এলাকাকে ধূমপান ও তামাকমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কেউ আইন না মানলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। শুধু আইন করে, প্রচারণা বাড়িয়ে এটি বন্ধ করা সম্ভব নয়, যদি তামাকের উৎস বন্ধ করা না যায়। রেলওয়েতে প্রকাশ্যে বিড়ি সিগারেট খাওয়া নিষেধ। রেল ভ্রমণের শুরুতেই যাত্রী যাতে তামাক জাতীয় দ্রব্য নিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ করতে না পারে এ জন্য উদ্যোগ গ্র্রহণ করতে হবে। মাঠ পর্যায়ে পরিকল্পনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় এটি কার্যকর করা হবে।

আজ (৮ ফেব্রুয়ারি) বুধবার রেলভবনে রেলপথ মন্ত্রণালয় গৃহীত ইনিশিয়েটিভ টু মেক বাংলাদেশ রেলওয়ে টোবাকো ফ্রী শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা দি ইউনিয়নের অর্থায়নে সম্পূর্ণ অনুদানের ভিত্তিতে রেলপথ মন্ত্রণালয় এ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে শিশু, নারী, অসুস্থ ব্যক্তি, গর্ভবতী নারীসহ অধূমপায়ী যাত্রীদের পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি হতে সুরক্ষা প্রদান। পানের পিক মুক্ত স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রেল স্টেশন ও ট্রেনের অভ্যন্তরে পান- জর্দা/ সাদাপাতার ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ। তামাক ও ধূমপানমুক্ত রেলওয়ে গড়ে তোলা এবং প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এ প্রকল্প সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর সভায় সভাপতিত্বে প্রকল্পের কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রিসোর্সপারসন হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির প্রকল্প পরিচালক ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক। মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা-মানষের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি অধ্যাপক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাদক অনুবিভাগ) ইসরাত চৌধুরী। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী (অতিরিক্ত সচিব) হোসেন আলী খন্দকার। এ প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপনা করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জালাল উদ্দিন আহমেদও রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদারসহ রেলপথ মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।