এমন আন্দোলন হবে, যেখানে আলেমরাও থাকবে : হাফিজ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিরভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বক্তৃতা, বিবৃতি অনেক হয়েছে, এখন আর এসবের সময় নেই। মাঠে নামার প্রস্তুতি নিন। এমন আন্দোলন হবে, যে আন্দোলনে আলেমরাও থাকবে, আমরাও থাকবো। জিনসের প্যান্টও থাকবে, পাঞ্জাবিও থাকবে। আর সেটি হবে গণ-আন্দোলন। 

আজ (২ ফেব্রুয়ারি) বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি আয়োজিত ‘রাজবন্দির মুক্তি দাও’ শীর্ষক এক প্রতিবাদ সভায়  তিনি এসব কথা বলেন। এনডিপির চেয়ারম্যান কে এম আবু তাহেরের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, গণফোরামের মহাসচিব অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, গণ-অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর প্রমুখ।

জেলে বন্দি আলেম-ওলামাদের মুক্তি চেয়ে বিএনপির মেজর হাফিজ বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করায় দীর্ঘদিন আলেম-ওলামাদের জেলে থাকতে হচ্ছে, যা উচিত নয়। কিন্তু সরকার পশ্চিমা দেশগুলোকে দেখাতে চায়, আলেম-ওলামারাই ওয়ান ইলেভেন করেছে, এরাই জঙ্গি, এরাই গণতন্ত্রের শত্রু, জনগণের শত্রু। আর এ সব দেখানোর জন্যই নিরীহ মানুষগুলোকে জেল এ রেখেছে। তাঁরা ইসলামোফোবিয়া কাজে লাগিয়ে এ কাজ করতে চায়।

তিনি বলেন, ২০২২ সাল ঘটনাবহুল হবে, বাংলাদেশে ২০২২ সালে আপনারা অনেক কিছু দেখতে পাবেন।  এ সালে আরেকটা মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হতে পারে। খালেদা জিয়া কখনো নির্বাচনে দাঁড়িয়ে পরাজিত হননি। তাঁর এ জনপ্রিয়তার কারণেই তাঁকে জেলে রাখা হয়েছে। যে টাকা খরচই হয়নি, উল্টো বেড়েছে, সে ঘটনায় তাঁকে দিনের পর দিন জেলে রাখা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এসেছে, তা সবে শুরু। আরও অনেক ঘটনা বাকি আছে। নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে কিছু দানবের বিরুদ্ধে, যারা নরহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল। কিন্তু যাঁরা এই নরহত্যার নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁদের তো এখনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। যাঁরা এ সরকারি বাহিনীকে এ সব কাজে যুক্ত করেছেন, তাঁদের এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা উচিত। সার্চ কমিটির নামে যা হচ্ছে, তা সব নাটক। তিন বছর আগেই শেখ হাসিনা সার্চ কমিটি করে রেখেছেন। কারা সার্চ কমিটিতে আসবেন, আর কারা নির্বাচন কমিশনার হবেন- তা শেখ হাসিনার ভ্যানিটি ব্যাগেই আছে।