| |
               

মূল পাতা জাতীয় কেন ‘রাবিশ’ বলতেন, জানালেন সাবেক অর্থমন্ত্রী


কেন ‘রাবিশ’ বলতেন, জানালেন সাবেক অর্থমন্ত্রী


রহমত ডেস্ক     25 January, 2022     10:48 PM    


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত সংবাদ সম্মেলনে কিংবা কোনো অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে ‘রাবিশ’ বলে গালি দিতেন। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে রাশিব শব্দ বিষয়ে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, যেটা রাবিশ সেটাকে রাবিশ বলা অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। আমার পরিবারের সদস্যরা, ঘনিষ্ঠজনেরা আর রাবিশ না বলার জন্য বলেছেন। তারপরও অভ্যাস বলে কথা। যেটা রাবিশ সেটাকে রাবিশ বলেছি।

আজ (২৫ জানুয়ারি) মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে নিজের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চ্যানেল আই আয়োজিত ‘ত্রিকালদর্শী কর্মবীর’ শিরোনামে তার জীবন ও কর্ম নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। চ্যানেল আইর পরিচালক শাইখ সিরাজের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, মহাহিসাব নিয়ন্ত্রক মুসলিম চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি ও হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদ, সাবেক অর্থ সচিব ড. মোহাম্মাদ তারেক, সাবেক ইআরডি সচিব কাজী শফিকুল আজম, আরাস্তু খান, মুহিতের পরিবারের সদস্য, আত্মীয় ও বন্ধুবান্ধব উপস্থিত ছিলেন। প্রদর্শনী শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমি মাঠে উপস্থিত শুভানুধ্যায়ীরা মুহিতকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, আজকে জীবনের এমন একটা সময়ে কোনো উপদেশ দিতে চাই না। উপদেশ নিজে থেকে গ্রহণ করবেন। শুধু একটা কথা বলতে চাই, সেটা হলো মঙ্গলচিন্তা।দেশের ও দশের মঙ্গলচিন্তা করতে হবে। সেই চিন্তা যদি করতে পারে মঙ্গল চিন্তাই আসল বিষয়। দেশ ও দশের চিন্তা করতে হবে। সেই চিন্তায় মগ্ন থাকলেই জনসেবক হওয়া যাবে। নেতা যদি বড় মনের না হয়, তাহলে যত চেষ্টাই করেন, এগোতে পারবেন না। শেখ হাসিনা কল্যাণচিন্তায় বড় মনের মানুষ। এ ছাড়া দেশের কৃষকরাও অর্থনীতি এগিয়ে নিচ্ছেন। আমরা ১৩ ভাইবোন। এর মধ্যে বর্তমানে ১১ জন জীবিত। বড় বোনের বয়স ৯২ বছর। তার পরিবারের সদস্যদের আয়ুস্কাল দীর্ঘ। তার বাবা ৮৫ বছর এবং দাদা ৮২ বছর বেঁচে ছিলেন।

তিনি আরো বলেন, ৫৫ মিনিটের প্রামাণ্যচিত্রে মুহিতের শৈশব থেকে অবসর জীবনের নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে। এতে মুহিতকে বলতে শোনা যায়, অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে তিনি ঠিক করেন— বাজেটের আকার বড় করবেন। কারণ বাজেট বড় না করলে বড় সেবা দেওয়া যায় না। আর সে জন্যই তিনি বাজেট বড় করেছেন। যদিও এতে অপচয় হয় বলে সমালোচনা আছে। কিন্তু কিছু বড় কাজ করতে গেলে সামান্য অপচয় হবে; সেটা মানতে হবে। বাজেট বড় করা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে। কারণ প্রধানমন্ত্রী বড় মনের মানুষ। তিনি মানুষের কল্যাণ চান। তার কাছে (প্রধানমন্ত্রী) যেটা নিয়ে গেছি, সেটাতেই অনুমতি দিয়েছেন। বলেছেন— শুরু করেন, লোকজন লাগিয়ে দেন।

১৯৩৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সিলেটের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মুহিত। শিক্ষা, সরকারি চাকরি, রাজনীতি, অর্থনীতি, সাহিত্য মিলিয়ে বর্ণাঢ্য জীবন তার। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ভাষাসংগ্রামেও অংশ নিয়েছেন। তিনি ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। এর পর টানা ১০ বছর অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে এরশাদ সরকারের সময় ১৯৮২ থেকে ৮৩ সাল পর্যন্ত অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। দেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশিবার বাজেট দিয়েছেন তিনি। ২০১৮ সালে অবসর নেওয়ার পর বিশেষ কোনো কিছুতে সম্পৃক্ত নন তিনি। স্ত্রী সৈয়দা সাবিয়া মুহিত, ছেলে, পুত্রবধূ, নাতি ও মেয়েকে নিয়ে থাকছেন বনানীতে নিজ বাড়িতে।