| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ‘উইঘুর মুসলিম নিপীড়ন বন্ধে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা’


‘উইঘুর মুসলিম নিপীড়ন বন্ধে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা’


রহমত ডেস্ক     13 January, 2022     04:58 PM    


চীনের উইঘুর মুসলিম নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রধান আমীরে শরীয়ত আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেছেন, ৯০ লাখ মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল চীনের শিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুরের ১০ লাখ মুসলিম নারী-পুরুষকে ধর্মীয় চরমপন্থা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধের নামে বছরের পর বছর ধরে কথিত চরিত্র সংশোধনাগার নামের বন্দী শিবিরগুলোতে আটকে রেখে তাদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালাচ্ছে চীন সরকার। মুসলিম জন্মহার কমানোর জন্য বন্ধাত্বকরনসহ চরম নির্মমতা চালানো হচ্ছে যা গণহত্যার শামিল। মুসলিম নারীদের জোরপূর্বক গর্ভপাত করাসহ ৩য় সন্তান জন্ম দিলে উচ্চ মূল্যের জরিমানা করা হচ্ছে। বাবা-মা থেকে সন্তানদের আলাদা করে রাখা হচ্ছে। আটকদেরকে ধর্ষণ করাসহ তাদেরকে জোর পূর্বক কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে।

আজ (১৩ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার বিকালে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জীর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি খবরে প্রকাশিত হয়েছে, ৫৭ বছর বয়সী এক মুসলিম শিক্ষিকাকে ইসলাম ধর্মের রীতি - নীতি শিক্ষা দেয়া ও ঘরে পবিত্র কুরআন শরীফ রাখার অপরাধে ১৪ বছরের কারাদন্ড দিয়েছে চায়না আদালত। বিগত ২০১৭ সালের মে মাসে অপহরণ করার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেন, গণহারে বন্দীকরে রাখা উইঘুর মুসলিমদেরকে সেদেশের সংখ্যা ঘরিষ্ঠদের নীতি মানতে বাধ্য করা চরম ধৃষ্টতা ও মানবাধীকার লংঘন। বিভিন্ন গণমাধ্যমের রিপোর্টে জানা গেছে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় উইঘুর মুসলিমদের দমন-পীড়নের সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংসহ শীর্ষনেতারা জড়িত। মুসলিম নিপীড়নের কারণে জাতি সংঘ সহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও পশ্চিমাদেশগুলো চীন সরকারের সমালোচনা ও প্রতিবাদ করার পরও মুসলিম বন্দী শিবির গুলোতে ভয়ংকর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র চীন থেকে পণ্য আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে, এর পরও টনক নড়ছে না। অবিলম্বে উইঘুর মুসলিম নিপীড়ন বন্ধে চীনের উপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি কারার জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।