রহমত ডেস্ক 12 January, 2022 09:05 PM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আগামী নির্বাচনে ভোট চুরির ষড়যন্ত্র শুরু করেছে সরকার। সব ভোট চোর আজ এক জায়গায় যুক্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের বিরুদ্ধে নাকি দেশে বিদেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আসলে ষড়যন্ত্র মূলত করছে আওয়ামী লীগ। দেশের মানুষের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করছে। আবার এ দেশের মানুষের ভোট কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। বিচার বিভাগকে কুক্ষিগত করে ক্ষমতায় থাকার ষড়যন্ত্র করছে।
আজ (১২ জানুয়ারি) বুধবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণ পাশে কর্ণফুলী সিডিএ আবাসিক মাঠে কেন্দ্র ঘোষিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এস এম মামুন মিয়ার যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার প্রমুখ।
আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আজ একতাবদ্ধ হয়েছে। আন্দোলনের যে জোয়ার শুরু হয়েছে, আগামী দিনে তারা সেই ষড়যন্ত্রকারীদের ধ্বংস করে দেবে। বাংলাদেশের মানুষ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, যারা যারা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। যারা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য আমাদের সভা সমাবেশে বাধা দিচ্ছে, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এই যে উত্তাল আন্দোলন শুরু হয়েছে, কোনো শক্তি একে রুখতে পারবে না। যারা বাংলাদেশের আত্মাকে বিক্রি করে দিয়েছে তাদের মূল্য দিতে হবে আগামী দিনে।
আমীর খসরু বলেন, শুনেছি সরকার নাকি বিএনপি নেতাকর্মীদের তালিকা করছে। একটা পরামর্শ দিই, আপনারা আওয়ামী লীগের যে গুটিকয়েক সমর্থক আছে, তাদের তালিকা করুন। আর বাকি সব বিএনপি। আওয়ামী লীগে এখন কোনো রাজনীতিবিদ নেই। লুটপাটে যারা জড়িত, তারা ছাড়া আওয়ামী লীগে এখন আর কেউ নেই। বাংলাদেশে যে ভোট চুরি করে ক্ষমতা দখল করেছে আওয়ামী লীগ, মধ্যরাতের ভোট চুরির মাধ্যমে এবং খালেদা জিয়াকে যে কারণে জেলে রাখা হয়েছে, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের হিউম্যান রাইটসের প্রতিবেদনে পরিষ্কার হয়েছে যে, এটা একটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বেগম জিয়াকে জেলে নেওয়া। এই গুম, খুন, মিথ্যা মামলার মাধ্যমে ক্ষমতায় গেছে এটা বিশ্বব্যাপী দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই না, খালেদা জিয়াকে মুক্ত আমরা করব। কার কাছে মুক্তি চাইব? একটা অবৈধ, অনির্বাচিত, দুর্নীতিবাজ, দালাল সরকারের কাছে? খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব আন্দোলনের মাধ্যমে। আবারও বলছি, এই অবৈধ সরকার, এই অনির্বাচিত সরকার তাদের কাছে আমাদের গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আমরা চাইতে পারি না। আগে তাদের পতন ঘটাতে হবে। পতনের মাধ্যমে দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সমুদ্রের পানিকে বালু দিয়ে রক্ষা করা যায় না, সমুদ্রের পানি বাধ ভেঙে দেয়। আজ দক্ষিণ জেলা বিএনপি বাধ ভেঙে দিয়েছে। যে পরিমাণ লোক সমাগম আজ হয়েছে, এটা একটা স্যাম্পল মাত্র। এটা স্যাম্পল। এখনও তো ঘুঘু দেখেছ, ফাঁদ দেখনি। ফাঁদ দেখাব আগামী দিনে। ওমিক্রন কোভিডের জন্য নাকি সমাবেশ বন্ধ করতে হবে। ওমিক্রন নয়, আসল রোগ অন্য জায়গায়। রোগ হচ্ছে, সরকার পতনের দিন ঘনিয়ে এসেছে। ওমিক্রনের নাম দিয়ে ১৫-২০ দিন ঠেকাতে পারবেন, না হলে একমাস ঠেকাতে পারবেন। পতন কিন্তু হবেই হবে।