| |
               

মূল পাতা জাতীয় আইন-আদালত ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে স্ত্রীর করা জিডি তদন্তের নির্দেশ আদালতের


ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে স্ত্রীর করা জিডি তদন্তের নির্দেশ আদালতের


রহমত ডেস্ক     09 January, 2022     07:59 PM    


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসানের করা জিডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ (৯ জানুয়ারি) রবিবার  ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুন অর রশিদ এই আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার (নন-জিআরও) কর্মকর্তা ফুয়াদ উদ্দিন  বলেন, আজ আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা তদন্তের আবেদন করলে বিচারক তদন্তের নির্দেশ দেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধানমণ্ডি থানায় উপস্থিত হয়ে ডা. মুরাদ হাসানের স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডি নম্বর ৩৩৪।

এর আগে বৃহস্পতিবার জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চান মুরাদ হাসানের স্ত্রী। বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় জরুরি সেবায় তিনি ফোন করে জানান, তাকে মারধর করা হচ্ছে। এমনকি প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। মুরাদের স্ত্রীর অভিযোগ পেয়ে ৯৯৯ থেকে বিষয়টি জানানো হয় ধানমন্ডি থানা পুলিশকে। এরপরই পুলিশের একটি টিম বিকেল ৩ ঘটিকায় মুরাদের বাসায় যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করে ধানমন্ডি থানার অফিসার ইনচার্জ ইকরাম আলী মিয়া বলেন, ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের ১৫ নম্বর সড়কের বাসায় আজ বিকেল ৩ টায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে সেখানে কি ঘটেছে তা এখনই বলতে পারছি না। তদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।

No description available.

নানা সময়ে রাজনীতির ভেতরে-বাইরের বিভিন্ন ইস্যুতে বিতর্কিত বক্তব্য রেখে আলোচনা-সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে মুরাদ হাসানকে। সবশেষ বিএনপি চেয়ারপারসন ও তার পরিবারের নারী সদস্যদের নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেয়া নিয়ে কড়া সমালোচনার মুখে পড়েন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। এই বক্তব্যের রেশ কাটতে না কাটতেই চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহীর সঙ্গে অশ্লীল ফোনালাপ ফাঁস হয় ডা. মুরাদের। এরপরই বেকায়দায় পড়ে যান মুরাদ। এমন কর্মকাণ্ডে চটে যান খোদ প্রধানমন্ত্রী। নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রীর পদ ছাড়তে। এরপরই শুরু হয় দলের অ্যাকশন৷ অব্যাহতি দেয়া হয় মুরাদের জেলা জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য সম্পাদকের পদ থেকে। একে একে উপজেলা, ইউনিয়নের পদ থেকেও মুরাদ হাসানকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এরইমধ্যে আত্মগোপনে চলে যান তিনি। আত্মগোপনে থাকাবস্থায় জমা দেন পদত্যাগপত্র। গৃহীত হওয়ায় মন্ত্রীপরিষদের তালিকা থেকে বাদ পড়েন ডা. মুরাদ।

পরে হঠাৎ করেই খবর শোনা যায় দেশ ছাড়ছেন মুরাদ। যাচ্ছেন কানাডা। কিন্তু সেখানেও ভাগ্য সহায় হয়নি তার। বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মকর্তাদের জেরার মুখে আর দেশটিতে ঢোকার সুযোগ পাননি সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী। পরে চলে যান দুবাই। সেখানেও ব্যর্থ হওয়ার পর আর উপায় না পেয়ে মুরাদ হাসান গত ১২ ডিসেম্বর দেশে ফেরেন। দেশে ফেরার পর ডা. মুরাদ এখন কোথায় আছেন, সেই তথ্য নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তিনি এখন কোথায় আছেন, তা কেউ জানে না। তার ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এরইমধ্যে স্ত্রী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে অভিযোগ দিলেন।