| |
               

মূল পাতা রাজনীতি বাহাত্তরের সংবিধান ‘কার্যকর’ করার দাবি সিপিবি’র সভাপতির


বাহাত্তরের সংবিধান ‘কার্যকর’ করার দাবি সিপিবি’র সভাপতির


রহমত ডেস্ক     07 January, 2022     05:17 PM    


‘লুটপাট ও দুঃশাসনের’ অবসান ঘটাতে বাহাত্তরের সংবিধান ‘কার্যকর’ করার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি’র সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, আমাদেরকে সমাজতন্ত্রের দিকে যেতে হবে। গণতন্ত্র ও ধর্মনিপেক্ষতা ও জাতীয় মুক্তির ধারায় আবার ফিরে যেতে হবে। দুর্নীতি, লুটপাটের ও দুঃশাসনের ‍বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের মত ফের ‘গণজাগরণ’ গড়ে ওঠা প্রয়োজন। মাত্র ১ শতাংশ লোক আঙুল ফুলে কলা গাছ হচ্ছে। ৫৪ শতাংশ বাঙালির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের জন্য একাত্তরে যেমন সংগ্রাম করেছি, ৯৯ শতাংশের ন্যায্য হিস্যা আদায়ের জন্য একইভাবে আমাদের সংগ্রাম গড়ে তোলা প্রয়োজন।

আজ (৭ জানুয়ারি) শুক্রবার সকালে পুরানা পল্টনে সিপিবি কার্যালয়ের সামনে দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার প্রথম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।  সিপিবির সহ-সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দনের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহিন রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স উপস্থিত ছিলেন। একই দিনে সিপিবির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখারও সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করবে দলের কাউন্সিল প্রতিনিধিরা।

সেলিম বলেন, এক সময় বাংলার সম্পদ পাঞ্জাবে, পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার করা হত। আমরা লড়াই করেছিলাম পূর্ববাংলার সম্পদ বিদেশে পাচার করতে দেওয়া হবে না- এই আওয়াজ নিয়ে। সেই আওয়াজ প্রতিষ্ঠা করার জন্য অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছিলাম ১৯৭১ সালে। আজকে দেশের সম্পদ পাকিস্তানে নয়, পশ্চিমা দেশগুলোতে বড় বড় কোম্পানি পাচার করে নিয়ে যাচ্ছে। সেইটাকে বন্ধ করার জন্য একাত্তর সালের মতো একইভাবে প্রয়োজনে বিশাল গণজাগরণের মাধ্যমে সেই আন্দোলন পরিচালনা করাই যুক্তিসঙ্গত।

তিনি আরো বলেন, দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলো লুটপাটের ফন্দিফিকিরে ব্যস্ত, বিএনপিও তাই করেছে। এখন আওয়ামী লীগ খুব সফলতার সঙ্গে সেটি করে চলছে। মানুষকে শুধু ভাত থেকে বঞ্চিত নয়, ভোটাধিকার থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে। অবাধ ভোট হলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। তাই নানা কলা-কৌশলের মাধ্যমে ‍জনসমর্থন না থাকলেও ভোটের প্রহসন করে গদি আঁকড়ে থাকার ফন্দি করছে। মানুষ যাতে কথা বলতে না পারে- জেল-জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়ে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, অমুক আইন সম্মত কঠোর নিপীড়নমূলক আইন প্রণয়ন করে এই দেশে একটা ফ্যাসিস্ট শাসনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। জনগণকে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।