| |
               

মূল পাতা জাতীয় বিএনপি নেতারা কয়েকশ’ মানুষ দেখেই খেই হারিয়ে ফেলেছেন : তথ্যমন্ত্রী


বিএনপি নেতারা কয়েকশ’ মানুষ দেখেই খেই হারিয়ে ফেলেছেন : তথ্যমন্ত্রী


রহমত ডেস্ক     04 January, 2022     06:37 PM    


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আসলে মির্জা ফখরুল সাহেবরা তো বছরের পর বছর দলীয় কার্যালয় নয়াপল্টনের সামনে কয়েকশ’ মানুষ দেখতেই অভ্যস্ত ছিলেন। এখন বিভিন্ন জেলায় তাদের সমাবেশে আমরা দেখেছি তারা মারামারি করে নিজেরা নিজেদের সমাবেশ পন্ড করেছেন। বিভিন্ন সমাবেশে হাজার হাজার নয়, কয়েকশ' মানুষ দেখেই মির্জা ফখরুল সাহেবরা খেই হারিয়ে ফেলেছেন। বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগের সাথে আছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আছে এবং সরকারের সাথে আছে, নির্বাচনে বিএনপি সেটি অনুধাবন করতে পারবেন। আসলে বিএনপি অনুধাবন করতে পেরেছে যে, তৈমূর আলম খন্দকারের বিজয় লাভের কোনো সম্ভাবনা নাই। এটি অনুধাবন করতে পেরে আগেই তাকে বিভিন্ন পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে পরাজয়ের যে গ্লানি, সেটি থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করছে।

আজ (৪ জানুয়ারি) মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টেলিভিশন এন্ড ডিজিটাল প্রোগ্রাম প্রডিউসারস এসোসিয়েশন অভ বাংলাদেশের (টেলিপ্যাব) সাথে বৈঠক করেন। পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব তিনি এসব কথা বলেন। সভায় অংশ নেন, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খাদিজা বেগম, টেলিপ্যাবের সভাপতি ইরেশ যাকের, সাধারণ সম্পাদক সাজু মোনতাসের, সহ-সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন দোদুল, জহির আহমেদ, আনসারুল আলম লিংকন, দপ্তর সম্পাদক এ কে এম নাহিদুল ইসলাম নিয়াজী, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বাবলু, আর্কাইভ বিষয়ক সম্পাদক মীর ফখরুদ্দীন ছোটন, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আইনুল ইসলাম চৌধুরী চঞ্চল এবং সদস্যদের মধ্যে এম রেজাউল করিম সজল, সাদেক সিদ্দিকী, জাকির খান, ব্যারিস্টার ওলোরা আফরিন, রাশেদা আক্তার লাজুক প্রমুখ।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগ গঠিত হয়েছিলো, আওয়ামী লীগ গঠিত হওয়ার এক বছর আগে। স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও স্বাধীনতাযুদ্ধে ছাত্রলীগের অবদান জাতির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে। দেশ স্বাধীনতা অর্জনের পরও বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ছাত্রলীগ দেশ গঠনে ভূমিকা রেখেছে। ছাত্রলীগের কাছে আমার প্রত্যাশা হচ্ছে ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় দেশকে পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। ছাত্রলীগের মধ্যে যেন কোনো অনুপ্রবেশকারী ঢুকে বদনাম করতে না পারে। যারা চুন থেকে পানি খসলেই কিংবা কিছু হলেই সেটার সাথে ছাত্রলীগে কোনোভাবে একসময় নাম লিখিয়েছিলো কিংবা লেখায় নাই, সেই গন্ধ খুঁজে ছাত্রলীগের গায়ে কালিমা লেপন করার অপচেষ্টা করে, তাদের সেই মানসিকতা পরিহারের অনুরোধ জানাই।

নির্বাচন কমিশন গঠনে সংলাপ নিয়ে বিএনপি’র বিরূপ মন্তব্যের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রাষ্ট্রপতি যে সংলাপ করছেন এর কোনো বাধ্যবাধকতা ছিলো না। নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়াটিকে স্বচ্ছ করার জন্যেই তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ করছেন। বিএনপি যে কথাগুলো বলে সেগুলো রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েও বলতে পারে। কিন্তু সেটি না করে ক্রমাগতভাবে বাইরে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে তারা যে গণতান্ত্রিক রীতিনীতিতে বিশ্বাস করেনা সেটিই প্রমাণ করছে।

গণমাধ্যমকর্মী আইন বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির সময় যে কাজটি করা হয়েছিলো গণমাধ্যমকর্মীদেরকে শ্রমিক বানিয়ে দেয়া হয়েছিলো, সেটি নিরসন করা প্রয়োজন ছিলো। এ আইনে সেটি নিরসন করা হয়েছে। সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই মূল বিষয় ঠিক রেখেই অর্থাৎ যে বিষয়গুলো সাংবাদিক সমাজের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা হয়েছিলো সেগুলো ঠিক রেখেই আইনটি তৈরি করা হয়েছে। তবে এরপর কারো কোনো প্রশ্ন থাকলে এটি সংসদীয় কমিটিতে উত্থাপন করা যায়। সংসদীয় কমিটি চাইলে সেখানে পরিমার্জন, পরিবর্ধন করতে পারেন।

নাট্য প্রযোজকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, টেলিভিশন এমন একটি গণমাধ্যম যেটি মানুষের ওপর বিরাট প্রভাব ফেলে। এজন্য আপনারা যখন কোনো নাটক, টেলিফিল্ম বা অনুষ্ঠান বানাবেন, সেই ক্ষেত্রে দেশ বিনির্মাণ ও উন্নত জাতি গঠনের লক্ষ্যটি যেন ভাবনায় থাকে সে অনুরোধ জানাই। প্রযোজকবৃন্দ নাট্যনির্মাণ ও বিপণন খাতের বিভিন্ন বিষয়ে মন্ত্রীর সাথে বিশদ আলোচনা করেন। সম্প্রচারমন্ত্রী এসময় বিদেশি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত বা ক্লিনফিড সম্প্রচার বাস্তবায়ন, ক্যাবল নেটওয়ার্কে দেশি টিভি চ্যানেলগুলোর ক্রম নির্ধারণ, সমগ্র ভারতে বাংলাদেশ টেলিভিশনের সম্প্রচার শুরু এবং দেশি বিজ্ঞাপনচিত্র বিদেশি শিল্পীদের অংশগ্রহণের ওপর করারোপের মাধ্যমে দেশের শিল্প-সংস্কৃতি-গণমাধ্যমকে এগিয়ে নিতে তার মন্ত্রণালয়ের সফল ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।