| |
               

মূল পাতা জাতীয় জাতীয় নির্বাচনে জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে : আইনমন্ত্রী


আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

জাতীয় নির্বাচনে জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে : আইনমন্ত্রী


রহমত ডেস্ক     02 January, 2022     06:37 PM    


আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নির্বাচন কমিশন আইন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ আইন তাড়াহুড়া করে করা যাবে না। এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে করতে হবে। এটি একজনের কাছে গ্রহণযোগ্য হলেই চলবে না। এমন একটি আইন করতে হবে, যেটা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়। সংলাপ ব্যর্থ হচ্ছে নাকি সফল হচ্ছে, তা সংলাপ শেষ হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি কী পদক্ষেপ নেন সেটা দেখার পর আপনারা বুঝবেন। সেই পর্যন্ত আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে।  আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে। কারা জনগণের কাছে সেবা পৌঁছে দিয়েছে সেটিই বিবেচনার বিষয়।

আজ (২ জানুয়ারি) রবিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), তরিকত ফেডারেশন সংলাপে গিয়ে ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের প্রস্তাবনা দিয়েছেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে। এই অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের কোনো সুযোগ নেই। এই সময়ের মধ্যে আইন করার সুযোগ নেই। আইন হবে না এই কথা তো আমি বলিনি। আমি বলেছি, এই আইনটা হবে। এই আইনটা এমন একটা আইন হওয়া উচিত, যেটা গ্রহণযোগ্য হবে সবার কাছে। শুধু এক দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হলে তো এটা সর্বজনীন আইন হলো না। সেক্ষেত্রে আমি মনে করি, আইন হবে। কিন্তু এই যে কমিশন তা সংলাপের ওপর নির্ভর করবে। দেখা যাক কী হয়। কাকে বিদেশ পাঠানো হবে, কাকে পাঠানো হবে না সেটা সরকারের জন্য বড় বিষয় নয়। একটি উন্নত দেশ গঠনে সরকার ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে, এখন জনগণকে সেবা দেওয়াই বড় বিষয়। জনবান্ধব সরকারের জনসেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই বর্তমান সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ। করোনার সময় দুই লাখ মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছিল। মামলাজট আগে যা ছিল, এখনো তাই আছে।

তিনি আরো বলেন, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে বলা আছে যে, নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি। গত দুবার নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটা সিদ্ধান্তে এসেছিলেন যে, সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে। দলগুলো নামগুলো দিতে পারবেন। ১০টি নাম সার্চ কমিটি সুপারিশ করতে পারবে, সেই দশটি নাম থেকে পাঁচজনকে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নিয়োগ দেবেন। এটা অ্যাক্টের উপরে হয়েছে, এটা আইন না। এটার ওপরে দুটি নির্বাচন হয়েছে। তবে আমিও মনে করি, আইন হওয়া উচিত। সুজনের প্রতিনিধিও গিয়েছিল। আমি পরিষ্কার বলেছি, নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত আইন হওয়া দরকার। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে সব সংসদ সদস্যকে সংসদে পাচ্ছিলাম না। সংসদ সদস্যদের পাশ কাটিয়ে কোনো অর্ডিন্যান্স করব না।