| |
               

মূল পাতা ফিচার যেভাবে বুঝবেন, আপনার চাকরি ছাড়ার সময় হয়েছে


যেভাবে বুঝবেন, আপনার চাকরি ছাড়ার সময় হয়েছে


রহমতটোয়েন্টিফোর ডেস্ক     09 October, 2021     03:19 AM    


অফিসে কাজ করে আর আনন্দ পান না। সহকর্মী বা কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতা, কথা দিয়ে কথা না রাখা, কাজ করতে গিয়ে পদে পদে বাধা- এসব হলে বুঝবেন চাকরিটা ছাড়ার সময় হয়ে গেছে। মনে রাখবেন, একটি চাকরি হারালে বা ছেড়ে দিলে আরও ১০টি ভালো চাকরি আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। যদি কাজ পারেন, সৎ থাকেন, কাজ জানেন, আপনার কোনো চিন্তা নেই। ভালো চাকরি জুটবেই। শুধু দরকার সাহস আর দৃঢ় মনোবল।

আসুন, জেনে নিই, কী কী হলে বুঝবেন, আপনার চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সময় হয়েছে :

উন্নয়ন থেমে গেছে : বছরের পর বছর ধরে প্রশংসামূলক কাজ করে যাচ্ছেন। তবে পদোন্নতির নাম-গন্ধও নেই। এই অবস্থায় নিজেকে বন্দি মনে হতে পারে, ভবিষ্যত অনিশ্চিত মনে হতে পারে। যদি মনে হয় মেধা ও কর্মদক্ষতা পুরোপুরি ব্যবহার হচ্ছে না, তবে এখানে আটকে না থেকে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার পরিকল্পনা করতে হবে। এক্ষেত্রে পারিশ্রমিকটাও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।

চাকরিতে নিরাপত্তাহীনতা : মাস শেষে পাওয়া বেতনটার ওপর অনেক কিছুই নির্ভরশীল। হুট করে তা বন্ধ হয়ে গেলে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার যোগাড় হয়। আর তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার মূল কারণ হলো চাকরিচ্যুত হওয়া। একজন অযোগ্য ব্যক্তি চাকরিচ্যুত হতেই পারে। তবে সামান্য কারণে যদি অফিস কর্মী ছাঁটাই করে, তাহলে আপনি সবসময়ই চাকরি হারানোর আতঙ্কে দিন পার করবেন। দিনের পর দিন আতঙ্কে কাটানোর বদলে আরেকটি চাকরি যোগাড় করে বর্তমান কর্মস্থল ছেড়ে দিন। এতে নিজের মনে তৃপ্তি আসবে।

স্বাস্থ্যহানি : অফিসে সবসময় কাজের চাপে থাকতে হয় আর তা আপনার স্বাস্থ্যের ওপরেও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। কাজের চাপ সইতে ধূমপান, মদ্যপান ইত্যাদি বদভ্যাসে জড়িয়ে যাচ্ছেন। সামান্য বিষয় ভুলে যাচ্ছেন, রাতে ঘুম হয় না, নিজের জন্য সময় বের করতে পারেন না। অফিসের জন্যই আপনার জীবনের অবস্থা যদি এমন হয়, তবে তা ছেড়ে দেওয়াই মঙ্গল।

নতুন কিছু শেখার নেই : কর্মক্ষেত্রে যদি নতুন কিছু জানার সুযোগ ফুরিয়ে যায় তবে গতবাঁধা কাজে বিরক্তি আসতে পারে। কাজে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব থাকবে না। ফলে নতুন কিছু নিয়ে কাজ করেও মনে হতে পারে ব্যক্তিগত কোনো উন্নয়ন হচ্ছে না। তাই অন্য কোথাও চাকরি খোঁজাই বুদ্ধিমানের কাজ।

নেতিবাচক পরিবেশ : যে কাজ করছেন, সেটা যতই প্রিয় হোক না কেনো, অফিসের পরিবেশ যদি ভালো না হয় তবে কাজের অনুপ্রেরণা ফুরিয়ে যেতে থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যদি অযথা দোষারোপ করে, সহকর্মীরা যদি ষড়যন্ত্র নিয়েই ব্যস্ত থাকে, অফিসের রীতিনীতি যদি ন্যায্য ও নিরপেক্ষ না হয়, তবে বেরিয়ে আসতে হবে। নিজের মানসিক শান্তির চেয়ে কোনোকিছুই বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়।

/জেআর/