| |
               

মূল পাতা জাতীয় রাজনীতি আসামে মুসলিম নিধন বন্ধ করুন : হেফাজতে ইসলাম


আসামে মুসলিম নিধন বন্ধ করুন : হেফাজতে ইসলাম


রহমতটোয়েন্টিফোর ডেস্ক     27 September, 2021     05:41 PM    


ভারতের আসাম রাজ্যে হিন্দুদের শিব মন্দির নির্মাণের জন্য মসজিদ মাদরাসাসহ মুসলিম সম্প্রদায়ের অসংখ্য বাড়িঘর উচ্ছেদের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা হফেজ নুরুল ইসলাম।

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে হেফাজত নেতারা বলেন, আসামের দরং জেলার মুসলমানদের কাছে সব ধরনের সরকারি নথি-পত্র, দলিল-প্রমাণ ও পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির আসাম রাজ্য সরকার শুধুমাত্র মন্দিরের পরিধি বাড়ানোর অজুহাতে বিগত কিছু দিন ধরে সেখানে দফায় দফায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে প্রায় আটশত মুসলমান পরিবারের ঘরবাড়ি ও বেশ কয়েকটি মাদরাসা-মসজিদ ভেঙে দিয়েছে। স্থানীয় মুসলিমরা এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করলে পুলিশ গুলি করে দুই জন মুসলমানকে নিহত এবং আরও অনেককে আহত করেছে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে একজন উগ্র হিন্দুকে একজন মুসলমানের লাশের ওপর তাণ্ডব চালাতে দেখা গেছে।

তারা বলেন, ভারতে যেভাবে মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হচ্ছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ভারতের স্বাধীনতাসহ সকল বিষয়ে মুসলিমদের ঐতিহ্য ও অবদানের ইতিহাস কারও অজানা নয়।

হেফাজত আমীর ও মহাসচিব বলেন, আমরা হেফাজতে ইসলামের সকল নেতাকর্মী ও সমর্থকসহ সর্বস্তরের মুসলিম জনতার পক্ষ থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আমাদের দাবি, অনতিবিলম্বে আসামের মুসলমানদের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধ করুন এবং মুসলমানদের ভিটে-বাড়ি ফিরিয়ে দিন। এবং এই জঘন্ন ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুন।

আমিরে হেফাজত আল্লামা বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম বিবৃতিতে আরও বলেন, ভারত নিজেকে যতই স্যাকুলার এবং বৃহৎ একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে প্রকাশ করুক না কেন, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত খবরাখবর এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ অনুযায়ী দেখা যায়, সেখানে মুসলমানদের ওপরই সবচেয়ে বেশি দমন-পীড়ন চালানো হয়ে থাকে।

অতএব মুসলমানদের ওপর এরূপ আঘাত চলতে থাকলে এই অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আমরা মনে করি। ভারতকে এসব শ্রেণি বৈষম্য ও বিভাজন সৃষ্টিকারী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে। ভারতীয় মুসলমানদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে এবং তারা যেন সম্পূর্ণ নিরাপত্তার সঙ্গে নির্ভয়ে বসবাস করতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে।

/জেআর/