মুসলিমদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য : আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ রবিনসন

মুসলিমদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হয়েছেন ইংল্যান্ডের প্রতিভাবান ক্রিকেটার অলি রবিনসন। প্রায় ৮ বছর আগে করা বর্ণবিদ্বেষী টু্ইটের জন্য রবিনসনকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছে ইসিবি। এর ফলে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলতি সিরিজের পরের ম্যাচটি খেলা হবে না তার। তবে এই সিদ্ধান্ত সার্বিকভাবে ক্রিকেটের জন্য কল্যাণকর হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

অলির শাস্তির নিশ্চিত করেছেন ইসিবির প্রধান নির্বাহী টম হ্যারিসন।  বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ড ও সাসেক্সের বোলার অলি রবিনসনকে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তার ২০১২ ও ২০১৩ সালে করা টু্ইটগুলোর বিষয়ে যথাযথ তদন্ত করা হবে এবং সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে নেওয়া হবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত।’

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, রবিনসনের এই শাস্তির মূলে রয়েছে ৮ বছর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় করা একাধিক বিতর্কিত পোস্ট।  তরুণ রবিনসন নিজের টু্ইটার অ্যাকাউন্টে মুসলিমবিদ্বেষী এবং মহিলাদের নিয়ে বেশ কিছু লিঙ্গ বৈষম্যমূলক মন্তব্য করেছিলেন। ৮ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পা রাখতেই হঠাৎ করে তার সেই বিতর্কিত পোস্টগুলো সামনে চলে আসে। ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত করা তার পোস্টগুলো শুধু সামনে আসাই নয়– পুরোদস্তুর ভাইরাল হয়েছে।

অলির মন্তব্যের মধ্যে ছিল মুসলিম মানেই সন্ত্রাসবাদ, তারা সন্ত্রাসী। এ ছাড়া মহিলাদের নিয়ে চরম অবমাননাকর কথাবার্তা এবং এশিয়ান ঐতিহ্য নিয়ে নানা ধরনের কটাক্ষমূলক কথাবার্তা ছিল। রবিনসনের বয়স ছিল তখন ১৮-১৯। ওই সময় তিনি লেস্টারশায়ার– কেন্ট ও ইয়র্কশায়ারের দ্বিতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে খেলতেন।

তীব্র বিতর্কের মাঝে প্রথম দিনের খেলা শেষে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন ২৭ বছর বয়সী এই বোলার। তিনি বলেছিলেন– ‘আমি নিজের এমন মন্তব্যের জন্য খুবই লজ্জিত। আমার পরিস্থিতি তখন যেমনই হোক– বিচার-বিবেচনা না করে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের কোনো ব্যাখা হয় না। আমি নিজের ভুলের জন্য লজ্জিত। আমার কথায় আঘাতপ্রাপ্ত সবার কাছে আমি ক্ষমা চাইছি।’

উল্লেখ্য, লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অভিষেক হয়েছিল রবিনসের। কেরিয়ারের প্রথম টেস্টে তিনি নিজের প্রথম ম্যাচেই বল হাতে ৭ উইকেটের পাশাপাশি দলকে উদ্ধার করা ৪২ রান করেছিলেন।