| |
               

মূল পাতা জাতীয় রাজনীতি প্রমাণ পেলেই মামুনুল গ্রেফতার : পুলিশ


প্রমাণ পেলেই মামুনুল গ্রেফতার : পুলিশ


রহমতটোয়েন্টিফোর ডেস্ক     07 April, 2021     12:05 PM    


পল্টন থানায় করা মামলায় মাওলানা মামুনুল হকসহ অভিযুক্তদের সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রমাণ পেলেই গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন মতিঝিল বিভাগের উপ কমিশনার সৈয়দ নুরুল ইসলাম।

রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা হওয়া প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘নৈরাজ্যে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে কেউ ছাড় পাবে না।’

এর আগে, সোমবার (৫ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও দেশের আলোচিত আলেমে দ্বীন মাওলানা মামুনুল হকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় মামলা দায়ের করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক খন্দকার আরিফুজ্জামান। বায়তুল মোকাররমে আন্দোলনের সময় সংঘর্ষের ঘটনায় হত্যা চেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনসহ কয়েকটি ধারায় এ মামলাটি করা হয়।

ওই মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে, তারা হলেন- ১. আল্লামা মামুনুল হক (যুগ্ম মহাসচিব), ২. মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব (যুগ্ম-মহাসচিব), ৩. মাওলানা লোকমান হাকিম (যুগ্ম-মহাসচিব), ৪. নাসির উদ্দিন মনির (যুগ্ম-মহাসিচব), ৫. মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া (নায়েবে আমির), ৬. মাওলানা নুরুল ইসলাম জেহাদী (মাথজান, ঢাকা),  ৭. মাজেদুর রহমান (নায়েবে আমির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া), ৮. মাওলানা হাবিবুর রহমান (লালবাগ, ঢাকা), ৯. মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, ১০. মাওলানা জসিম উদ্দিন (সহকারী মহাসচিব, লালবাগ), ১১. মাওলানা মাসুদুল করিম (টঙ্গী, সহ-সাংগঠনিক), ১২. মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী (অর্থ সম্পাদক), ১৩. মাওলানা যাকারিয়া নোমান ফয়েজী (প্রচার সম্পাদক) ১৪. মাওলানা ফয়সাল আহমেদ (মোহাম্মদপুর, ঢাকা), ১৫. মাওলানা মুশতাকুন্নবী (সহকারী দাওয়াহ সম্পাদক), ১৬. মাওলানা হাফেজ মো. জোবারের (ছাত্র ও যুব সম্পাদক) এবং ১৭. মাওলানা হাফেজ মো. তৈয়ব (দপ্তর সম্পাদক)।
 
মামলার এজাহারে যুবলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক লিখেছেন, ‘২৬ মার্চ দুপুরে বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে যান। নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হয়ে মসজিদের বাইরে উত্তর গেটের সিঁড়িতে কয়েক হাজার জামায়াত-শিবির-বিএনপি-হেফাজতের উগ্র মৌলবাদী ব্যক্তির বিশাল জমায়েত দেখতে পান। হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বে শীর্ষস্থানীয় জামায়াত-শিবির-বিএনপি-হেফাজত নেতারা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে দেশি-বিদেশি সরকার প্রধান ও নারী প্রধানদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিকে বানচাল করা এবং ঢাকাসহ সারাদেশে ব্যাপক নৈরাজ্য সৃষ্টির পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র করেন। সেই লক্ষ্যে সেখানে রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী নানা স্লোগান দেওয়া হয়।’

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, ‘২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে মামুনুল হকের নির্দেশে ১৭ হেফাজত নেতার নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রসহ দা, ছোরা, কুড়াল, কিরিচ, হাতুড়ি, তলোয়ার, লাঠিসোটাসহ অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এ হামলায় আরিফ-উজ-জামান গুরুতর আহত হন।’

এর আগে, হেফাজতে ইসলামের ডাকে মোদি বিরোধী আন্দোলনে কয়েক দফা বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। দেশজুড়ে হরতাল ও দোয়া দিবস পালিত হয়। এসব আন্দোলনে পুলিশ ও সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের হামলায় ২০ জন নিহত হন। সর্বশেষ গত শনিবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টে দ্বিতীয় স্ত্রীসহ মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে হেনস্থা করেন স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় ক্ষুব্ধ হেফাজতের কর্মীরা পুলিশের উপস্থিতিতে মাওলানা মামুনুল হককে ছাড়িয়ে নেন। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে সোনারগাঁও থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
-জেড