| |
               

মূল পাতা অর্থনীতি চিনিকল বন্ধের প্রতিবাদে সরব পাবনা সুগার মিল কর্মচারীরা


চিনিকল বন্ধের প্রতিবাদে সরব পাবনা সুগার মিল কর্মচারীরা


পাবনা প্রতিনিধি     19 December, 2020     03:26 PM    


পাবনার অন্যতম ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান পাবনা সুগার মিলস্ বন্ধের প্রতিবাদ ও চলতি মৌশুমের আখমাড়াই কার্যক্রম চালুর একদফা দাবিতে আবোরো মাঠে নেমেছে জেলার আখচাষী ও শ্রমিক কর্মচারীরা।

শনিবার সকাল থেকে পাবনা ঈশ্বরদীর সুগার মিলের সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে শ্রমিক কর্মচারীরা। এসময় আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে পাবনা ঈশ্বরদী মহাসড়কে অবস্থান নিলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। এসময় কিছু সময়ের জন্য যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে বিক্ষোভ-মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীরা চিনিকলের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয়।

আন্দোলনকারীরা বলেন, পাবনা চিনিকল দেশের সবকটি চিনিকলের মধ্যে সবচাইতে আধুনিক এবং নতুন প্রযুক্তি সম্পন্ন। এই চিনি কলের কার্যক্ষমতা অনেক গুণ বেশি। দেশের অন্য সবকটি চিনি কলের চাইতে এই চিনি কলে আখ মাড়াই সবচাইতে ভালো হয়। আসছে ২৫ ডিসেম্বর প্রতিবছর পাবনা চিনি কলে আখ মাড়াই কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু সরকারের আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত ও বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের গুটি কয়েক আমলা ও পরিচালকের ষড়যন্ত্রের কারণে এই চিনিকল বন্ধ করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

তাই চলতি মৌশুমের আখ মাড়াই শেষে শ্রমিক কর্মচারীদের সাথে বৈঠক করে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে চাষীসহ শ্রমিক-কর্মচারীরা ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে যাবে বলে মনে করছেন তারা। তাই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে বন্ধ সকল চিনিলের আখ মাড়াই কার্যক্রম চালুর দাবি জানান তারা।

শ্রমিক নেতারা আরো জানান, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের ইতমধ্যে দেশের বিভিন্ন চিনিকলে স্থানান্তর করে এই আন্দোলন বন্ধের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। তাই সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন আন্দোলনকারীরা। পাবনা চিনিকলে আখচাষী রয়েছে সাড়ে ৬ হাজার আর শ্রমিক কর্মচারী রয়েছে সারে ৬শ। পাবনা অঞ্চলের উৎপাদিক আখ অন্য সুগার মিলে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান আন্দোলনকারীরা।

সকাল ৯ থেকে বিক্ষোভ-আন্দোলন শুরু হয়ে চলে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। আগামীকাল সকাল ৯ টায় আবারো বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা। দাবি আদাই করা লক্ষে প্রতিষ্ঠানের মাটি স্পর্শ করে শপথ করেন তারা। গত নভেম্বর মাসের শুরু থেকে ধারাবাহিকভাবে এই আন্দোলন করে আসছেন প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক-কর্মচারীরা।
-জেড