| |
               

মূল পাতা সোশ্যাল মিডিয়া সরকার কি ভুল পথে এগুচ্ছে?


সরকার কি ভুল পথে এগুচ্ছে?


মুহাম্মাদ গোলাম রব্বানী ইসলামাবাদী     08 December, 2020     10:50 AM    


মূর্তি-ভাস্কর্য নিয়ে সরকার কি ভুল-পথে এগুচ্ছে?—প্রশ্নটি প্রবলভাবে ভাবাচ্ছে। আজ শুনলাম, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, মাওলানা ফয়জুল করীম ও মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে অপরিচিত আওয়ামীপন্থী একটি সংগঠন রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করেছে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য বা মূর্তির বিরুদ্ধে কথা বলায়। আদালত নাকি সে সম্পর্কে তদন্ত করতে বলেছে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে। মধ্যখানে যাত্রাবাড়ি মাদরাসার পরিচালক মাওলানা মাহমুদুল হাসান সাহেবের একটি উদ্যোগে ভেবেছিলাম, সঙ্কট সমাধানে বুঝি একটা পথ বেরুবে। এ সম্পর্কে সেদিন আলিমদের পক্ষ থেকে তিনটি প্রস্তাবনা ও কয়েকটি সিদ্ধান্তও জানানো হয়। তাঁরা বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের কথাও বলেন। এর পরপরই দেখলাম, মাঠে নেমেছে ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সরকারপন্থী দল ও সংগঠন। তারা এখন যে সুর ও স্বরে কথা বলা শুরু করেছে, মনে হচ্ছে কোথাও একটা গণ্ডগোল দানা বাঁধছে। আমার বাববার মনে হচ্ছে, যা কিছু এখন দৃশ্যমান, অন্তরালে ঘটছে তার চেয়ে ঢের বেশি।

প্রথমত, সরকারের বক্তব্যে আমরা একটা উত্থান-পতন দেখতে পাচ্ছি। মনে হচ্ছে, সরকারের ভেতরে অস্থিরতার সাথেসাথে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিভিন্ন মতের দ্বন্দ্ব ঘুরপাক খাচ্ছে। সঙ্কট শুরুর প্রথম দিকটায় মাহবুবুল আলম হানিফ, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রমূখ সরকারের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তির কথা শুনে মনে হয়েছে সরকার হার্ডলাইনে যাচ্ছে। কথিত রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা থেকে মনে হচ্ছে, সরকার ইসলামপন্থীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে দেখতে চাইছে, কতো ধানে কতো চাল? কারণ, মামলাটি এমনি-এমনি হয়নি। সবার জানা কথা, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি প্রয়োজন। অথচ অনুমতির আগেই মামলা দায়ের এবং আদালত কর্তৃক তদন্তের নির্দেশ। এখন শুনছি, তদন্তে রাষ্ট্রদ্রোহিতার প্রমাণ পেলেই তদন্তকারী সংস্থা নিজ থেকে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে নেবে। স্মর্তব্য, আমার জানা যদি ভুল না হয়, বলতে পারি, রাষ্ট্রদ্রোহ সম্পাদিত হলে সে মামলা করার অধিকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের, কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের নয়। অথচ মামলা করা হয়েছে একটি অপরিচিত সংগঠনের পক্ষ থেকে। প্রথম থেকেই আমার মনে হয়েছে, সরকার কৌশল অবলম্বন করতে পারে কিন্তু মুখোমুখি সঙ্ঘাতে যাবে না। মূর্তি-ভাস্কর্য নিয়ে কথা ওঠার পর বেশ ক’দিন গড়িয়ে গেছে অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনও মুখ খোলেননি। বিষয়টি ভাবার। এই যে শেখ হাসিনা সময় নিচ্ছেন—এখানেই সমাধান উঠছে-বসছে। খুব সম্ভবত, শেখ হাসিনা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিন্তু সেটি প্রকাশের আগে কিছু অপশন বা বিকল্প পরখ করে নিচ্ছেন। আমার মনে হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী তাঁর পদক্ষেপের আগে রাজনীতির গতি, ভবিষ্যৎ প্রতিক্রিয়া, জাতীয় আবহের প্রতিফলন ও সরকারের জন্য হিতকর বিষয় সম্পর্কে নিশ্চিত হবার চেষ্টা করছেন। এখানে রাজনীতির চেয়ে গোয়েন্দা-বিশ্লেষণই বেশি অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে।

যেহেতু আলিম-সমাজের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সংলাপ আয়োজনে চিঠি দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে, এমন অবস্থায় সরকার মামলাকে তদন্তাধীন রেখে একটা চাপ সৃষ্টির কৌশল অবলম্বন করছে। সাথেসাথে খবরে শুনলাম, ২০১৩ সালের শাপলা হত্যাকাণ্ডের মামলাগুলোও সচল করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তরফে এমনটাই বলা হয়েছে। সবকিছু দেখে মনে হচ্ছে, সরকার আলিম-সমাজের সাথে তাদের দিক থেকে ভারসাম্যপূর্ণ নরমে-গরমে এগুতে চাইছে। সরকার চাইছে, ২০১৩ সালের মামলাগুলো সচল হলে হেফাজত ও আলিম-সমাজ ভেতর থেকে চাপের মুখে পড়বে। ধারণাটি একবারে ফেলনা নয়। এখানে আলিম-সমাজকে ঠাণ্ডামাথায় খুব বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে হবে। অন্যথায়, বিপদ অনিবার্য। কারণ, আমরা অতীতে দেখে এসেছি, অতি আবেগীদের পাল্লায় পড়ে কী অবস্থা হয়েছে।

 শাপলার ভিকটিমদের কয়জনের দেখভাল করা হয়েছে—সে খবর কারও অজানা নয়। গ্রেফতারকালীন সময়ে খোদ আল্লামা বাবুনগরীর দেখভালে হাতের দশ আঙ্গুলের কয়টি নড়েছে, সে অভিজ্ঞতা বৃটিশ আমলের নয়। যা হোক, আমার মনে হচ্ছে, শান্তিপূর্ণ সমাধানে একটা পথ তৈরি হবেই। মনে রাখতে হবে, রাষ্ট্রশক্তি তার পথ নিজের মতো করে তৈরি করবে; সঙ্গতকারণে আলিম-সমাজকেও নিজেদের পথ তৈরি করতে হবে বৃহত্তর স্বার্থকে কৌশলে রক্ষার তাগিদে। এখন বাংলাদেশ দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের নাজুক রাজনীতির চক্রপাকে বন্দী। দেশের অভ্যন্তরে কোন সঙ্ঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে বহিঃশত্রু অবশ্যই সুযোগ নেবে। কথাটি যেন আমরা ভুলে না যাই। এ রাষ্ট্র টিকে না থাকলে আমরা টিকবো কোন্ শর্তে? নবনিযুক্ত ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জনাব ফরিদুল হক খানের কথা যদি সত্য হয়ে থাকে, বুঝতে হবে, সঙ্ঘাত-নিষ্পত্তি আসন্ন। 

তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন: অল্প কিছু দিনের মধ্যেই সঙ্কটের সমাধান হবে; প্রধানমন্ত্রী নিজে হস্তক্ষেপ করছেন। বাইরে যা কিছু হচ্ছে: উগ্র ছাত্রলীগ নেতা আর মন্ত্রীদের কেউকেউ আলিম-সমাজের উদ্দেশে যেসব অশালীন ও অভদ্র বক্তব্য দিচ্ছেন—ওগুলোকে পাত্তা দেয়ার কোন কারণ আছে বলে মনে করি না। তবে এসবের মধ্য দিয়ে জাতি চিনতে পারছে উগ্রসেক্যুলার মানসিকতা নিয়ে কারা দেশটাকে ভেতর থেকে ধ্বংস করে দিচ্ছে; কারা এ দেশের ইসলাম ও মুসলমানের প্রতিপক্ষ।

আরেকটি বিষয় এখানে বিশেষ প্রণিধানযোগ্য। তা হলো, আলিম-সমাজের নেতৃবৃন্দের মধ্যে কেউকেউ এমন আছেন যাঁরা ইচ্ছা-অনিচ্ছায় আবেগকে আশ্রয় করে বক্তব্য প্রদান করেন। তাঁরা অনেক সময় ভেবে দেখেন না, তাঁদের বক্তব্যে সমাধানের শান্তিপূর্ণ পথ জঠিল আকার ধারণ করে। এ বিষয়ে সতর্ক না হলে বিপদ আমাদের পিছু ছাড়বে না। এ ধরনের যে কোন সঙ্কটে সর্বাগ্রেই সংলাপের আশ্রয় নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ বিবেচিত হবে। সংলাপ ও দৃষ্টিভঙ্গীর প্রকাশ দা’ওয়াতী কাজের একটি অংশ হলে ক্ষতি কি?

সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, সরকার এখন কী করতে পারে? সরকার কি উগ্রসেক্যুলারদের কথাকে মান্য করে মূর্তি বা ভাস্কর্যের পক্ষে সরাসরি অবস্থান নেবে? এখানে সরকারকে বুঝতে হবে, উত্তেজনাটা কারা তৈরি করেছে? সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, কুষ্টিয়ায় ভাস্কর্য-ভাঙ্গায় জড়িতদের বিচার হবে আইন ভাঙ্গার কারণে। এখানে আমাদের প্রশ্ন হলো, মূর্তি-ভাঙ্গা যদি আইনের লঙ্ঘন হয় তবে মূর্তি তৈরি কি বাংলাদেশে আইন দ্বারা সিদ্ধ বা জরুরী? এমন আইন কি সংবিধানে বিদ্যমান? যা আইন দ্বারা সিদ্ধ নয় বা বাধ্যতামূলক নয়—তা তৈরি করা হলো কেন? সবাই বিলক্ষণ জানেন, মূর্তি তৈরি বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের ধর্মানুভূতির স্পষ্ট পরিপন্থী। ইসলামে মূর্তি তৈরি, সম্মান জানানো, পুজো দেয়া মৌলিকভাবে নিষিদ্ধ। কেউ এমন করলে তার আর ঈমান থাকে না। মূর্তিপন্থীদের কেউকেউ প্রশ্ন তুলেছেন: মূর্তি হোক আর ভাস্কর্য হোক, সেসব তো বাংলাদেশে নতুন নয়। তখন তো আলিম-সমাজ নীরব ছিলেন। তখন কি হালাল ছিলো? এখন শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে বাধা কেন? এ প্রশ্নের দু’টি জবাব। আসলে আলিম-সমাজ অতীতে নীরব ছিলেন না; হয় তো বর্তমানের মতো ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ ওঠেনি। তাঁরা তাঁদের বিভিন্ন মাহফিলে, আলোচনায় কথাগুলো বলেছেন। 

কিন্তু রাষ্ট্রশক্তি কোনদিনই তাঁদের কথা শোনেনি। যেমন ধরুন, এ দেশের আলিম-সমাজ ঈমানী কারণে ধর্মনিরপেক্ষতাকে ইসলামপরিপন্থী বলে ও মনে করে এসেছেন। কিন্তু সে-কথা কি শোনা হয়েছে বা তাঁদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে? এমন অনেক কিছু দেশে হয়েছে যা আলিম-সমাজ ইসলামপরিপন্থী বলে উল্লেখ করেছেন কিন্তু রাষ্ট্র তাঁদের কথা শোনেনি। আপত্তি উত্থাপণের দ্বিতীয় জবাব হলো, এখানে শেখ মুজিবুর রহমান বিষয় নয় আলিম-সমাজের কাছে; বিষয় হলো মূর্তি তৈরিকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ। সরকারের সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান কোন দলের নয়, পুরো জাতির। একদম ঠিক কথা। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তি কি জাতীয়? মুসলিমরা কি মূর্তিপন্থী হতে পারেন? অতীতে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় বিভিন্ন মূর্তি তৈরি হয়েছে—এটা সত্য। কিন্তু এবার যখন রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যের নামে বিশাল মূর্তি তৈরি হচ্ছে, তাতে আলিমগণ মনে করতে বাধ্য হয়েছেন: মুসলিম দেশ বাংলাদেশে মূর্তি-তৈরি ও প্রদর্শন এখন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাচ্ছে; এটা কালক্রমে মূর্তিপুজার অতীত ইতিহাসের অনুসরণে বাংলাদেশের মুসলমানের মধ্যে পৌত্তলিকতা বা মূর্তিপুজার সৃষ্টি করবে। ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসের দৃষ্টিকোণ থেকেই মূলত আলিম-সমাজ শেখ মুজিবুর রহমান নয়, মূর্তিপুজার বিরোধিতায় নেমেছেন। কিন্তু মূর্তিপন্থীরা এটাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ও কৌশলগত কারণে মূর্তি-নির্মাণ ও শেখ মুজিবুর রহমানকে গুলিয়ে ফেলেছে। এটাতে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের ব্যাপারও জড়িত।

 তা’ছাড়া, ভারতীয় আধিপত্যবাদের দোসররা মুসলিম হিসাবে মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানকে মুসলমানের খাতা থেকে মুছে দিতে চায়। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বুঝতে হবে; বুঝতে হবে, নাস্তিকতা কেউ অনুশীলন করতে পারে কিন্তু রাষ্ট্রে প্রাতিষ্ঠানিকতা দেয়া যায় না। তেমনি কেউ ঘরের মধ্যে চাইলে মূর্তি তৈরি করে পুজা করতে পারে কিন্তু সেটাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বা জাতীয়ভাবে প্রাতিষ্ঠানিকতা দেয়া যায় না। যারা বলছেন, এ ভাস্কর্য পুজার জন্য নয়—তাদের কথা অবান্তর। ইতিহাস দেখুন, সব মূর্তিই স্মৃতি বা সম্মানের জন্য তৈরি হয়েছে, পরে সে-সব পুজোয়-পুজোয় ভরে উঠে। 

এমন করতে-করতে শেষ পর্যন্ত পবিত্র কাবা শরীফের অভ্যন্তরে তিন শ’য়ের অধিক মূর্তি খোদার স্থান দখল করে। মক্কা বিজয়ের দিনে সেগুলো মহানবী সা. নিজ হাতেই ভাঙ্গেন এবং কুরআনে কারীমের আয়াত সরবে পড়তে থাকেন—সত্য সমাগত মিথ্যা অপসৃত, মিথ্যা তো অপসৃত হবারই। সুতরাং, আমরা মনে করি, যারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তি তৈরি করে কথিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাহির করতে চাইছে, তারাই সমস্যার মূল; তারাই সমস্যাকে উস্কে দিয়ে জাতিকে বিভক্ত করে ভারতীয় আধিপত্যবাদকে দেশে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে। এ কথা প্রধানমন্ত্রীকে বুঝতে হবে। তাঁকে বুঝতে হবে, তাঁর এখন বয়স হয়েছে, আল্লাহর ইচ্ছায় একদিন মৃত্যু হবে। তিনি কি তাঁর শেষ কাজ হিসাবে মূর্তি তৈরি করে কবরে যাবেন? আমার মনে হয় না তিনি একজন মুসলমান হিসাবে এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেবেন। তাঁর মনে থাকার কথা, তাঁর বাবা শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের জানুয়ারীতে প্রথম দেশে ফিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেয়া ভাষণে বলেছিলেন: আমি মুসলমান; আমার বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র।

আমার মনে হয়, অন্তত জাতীয় ও ইসলামের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মূর্তির বিপক্ষে অবস্থান নেবেন এবং আলিম-সমাজের বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক কোন দমনমূলক ব্যবস্থা নেবেন না। অন্যথায় দেশ নজিরবিহীন সঙ্ঘাতে জড়িয়ে পড়বে, জাতি বিভক্ত হবে এবং শত্রুদেশগুলো আমাদের ভেতরে হস্তক্ষেপ করবে। যারা বিভিন্নভাবে প্রধানমন্ত্রীকে উত্তেজিত করে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিতে প্ররোচিত করার চেষ্টা করছে, তারা দেশের হিতাকাঙ্খী নয়। প্রধানমন্ত্রীকে বুঝতে হবে, আলিম-সমাজ তাঁর প্রতিপক্ষ নন, দেশ ও দশ রক্ষায় তাঁর সহযোদ্ধা। আলিম-সমাজের সাথে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ হলেই সব সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করি। প্রধানমন্ত্রীকে পরিশেষে অনুরোধ করবো, আলিম-সমাজের বিরুদ্ধে সকল মামলা তুলে নিন, তাঁদের সাথে সম্পর্ক গড়ুন, তাঁরা আপনার শত্রু নয়, বিপদের বন্ধু।