| |
               

মূল পাতা জাতীয় আল্লামা শফির থিউরি কাজে লাগালে ধর্ষকদের ধর্মীয় অনুভূতি আসতো: এমপি বাবলু


আল্লামা শফির থিউরি কাজে লাগালে ধর্ষকদের ধর্মীয় অনুভূতি আসতো: এমপি বাবলু


রহমত টোয়েন্টিফোর ডটকম     18 November, 2020     06:54 PM    


বগুড়া-৭ আসনের এ এমপি রেজাউল করিম বাবলু বলেছেন,  হেফাজেতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রয়াত আমীর আল্লামা আহমদ শফী রহঃ থিউরি যদি কাজে লাগানো যেত তাহলে ধর্ষণ থেকে ধর্ষকরা নিরুৎসাহিত হতো এবং তাদের ভিতরে ধর্মীয় অনুভূতি আসতো। 

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সংসদে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিল- ২০০০’ পাসের সময় জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব তোলার সময় তিনি এ দাবি করেন।

সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু বলেন, ‘এখানে কী দেখছি মাননীয় স্পিকার? নারীবাদীরা নারী স্বাধীনতার কথা বলে নারীদেরকে উন্মুক্ত করে চলছে। যার কারণেই ধর্ষকরা ধর্ষণের অনুভূতিকে এতটা একসেপ্ট করেছে যে, ধর্ষণে উৎসাহিত হচ্ছে।’

সংসদ সদস্য বলেন, ‘আইনটি এখানে উত্থাপন করা হচ্ছে, সেটি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমরা কী দেখি মাননীয় স্পিকার? করিতে ধূলা দূর, রাজ্য ধূলায় ভরপুর। এত আইন করেছি, কিন্তু শুধু সঠিক বাস্তবায়ন, প্রণয়ন ও প্রয়োগের কারণে আমাদের আইনগুলো ভেস্তে যাচ্ছে। আমরা ইতোপূর্বে আহমদ শফী সাহেবকে তেঁতুল হুজুর বলে উল্লেখ করেছি। তেঁতুল হুজুরের তেঁতুল থিওরিটাও যদি কাজে লাগানো যেত তাহলে ধর্ষকরা ধর্ষণ থেকে পিছপা হতো। ধর্ষণ থেকে তারা নিরুৎসাহিত হতো। তাদের ভিতরে ধর্মীয় অনুভূতি আসত।’

তিনি আরও বলেন, এ আইনটা প্রয়োগের আগে ধর্ষকরা যাতে ধর্ষণ কাজে উদ্বুদ্ধ না হয়, তদের ভিতরে যেন ধর্মীয় অনুভূতি আঘাত করে একটা মানবতা ক্রিয়েট করে; তারা যেন মনুষ্যত্ব ফিরে পায়, এ রকম একটা সিচুয়েশন যদি সমাজে থ্রো করা হয়, তাহলে এত কঠিন আইনের প্রয়োজন হবে না। একটা ফাঁসি কার্যকর করে একটা নাগরিক কমানোর প্রয়োজন হবে না। আমরা চাই ধর্ষক যেন তৈরি না হয়। ধর্ষকের সংখ্যা যেন না বাড়ে।