| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ইসলামী দল গোপন সমঝোতার মাধ্যমে আরপিও সংশোধন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস


গোপন সমঝোতার মাধ্যমে আরপিও সংশোধন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস


রহমত নিউজ     12 November, 2025     01:21 PM    


গোপন সমঝোতার মাধ্যমে  আরপিও সংশোধন করা হলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।

রোববার  (২ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক ও মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ।

নেতৃদ্বয় বলেন, একটি নির্দিষ্ট দলকে ক্ষমতায় আনার লক্ষ্যে সরকার শুরু থেকেই পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে। ইতিপূর্বে ওই দলের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধানের সাথে প্রধান উপদেষ্টা লন্ডনে গিয়ে বৈঠক করেছেন এবং সেই বৈঠকের ধারাবাহিকতায় দুই পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের ইচ্ছেমতো নির্বাচন তারিখ নির্ধারণ করে যৌথ ব্রিফিং পর্যন্ত সম্পন্ন করেছেন—যা রাষ্ট্রীয় বিধি-ব্যবস্থা এবং জুলাই বিপ্লবের অংশিজনদের প্রতি সরাসরি অবজ্ঞা।

বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, আবার সেই একই দলের দাবির প্রেক্ষিতে সরকার আরপিও সংশোধন করে নির্বাচনী মাঠে তাদেরকে অস্বাভাবিক রাজনৈতিক সুবিধা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে। রাজনীতিতে এ ধরণের পদক্ষেপ নিন্দনীয়, অশোভন ও ঘৃণ্য। গোপন সমঝোতার মাধ্যমে  যদি আরপিও সংশোধন করা হয় বা পূর্বের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়—তবে তা নির্বাচনে সমান প্রতিযোগিতার পরিবেশ নষ্ট করার সামিল এবং জাতির সামনে আসন্ন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার নতুন ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।

নেতৃদ্বয় বলেন, দেশবাসী পরিষ্কারভাবে দেখতে পাচ্ছে, ফ্যাসিবাদকে প্রতিহত করার সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের উপর প্রতিষ্ঠিত এই সরকার কীভাবে আরেকটি ফ্যাসিবাদের দরজা খুলে দিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে।

তারা আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের সাথে কোনো রাজনৈতিক গোষ্ঠীর গোপন ডিল বা অদৃশ্য চুক্তির মাধ্যমে আইন পরিবর্তনের অপচেষ্টা—শুধু নির্বাচনী নিরপেক্ষতাই ধ্বংস করবে না, বরং রাষ্ট্র কাঠামোকেই চরম অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেবে। আরপিওর পূর্ব সিদ্ধান্ত ও সুপারিশসমূহ উপেক্ষিত হলে নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা দূরূহ হয়ে দাঁড়াবে, এবং নতুন করে জাতীয় গণবিস্ফোরণ ও গণঅভ্যুত্থানের ঝুঁকিও তৈরি হবে। এ দেশের মানুষ ন্যায্য প্রতিযোগিতা, ন্যায়বিচার ও মুক্ত ভোটাধিকার চায়, কোনো বিশেষ দলের সুবিধা রক্ষায় ক্ষমতাকে বন্ধক রেখে সাজানো নির্বাচন নয়।

তারা সরকারের উদ্দেশে সতর্ক করে বলেন, রাষ্ট্র থেকে ফ্যাসিবাদের এজেন্টদের উচ্ছেদ না করলে, এবং নির্বাচনকে নিয়ন্ত্রিত ও পূর্বনির্ধারিত পথে নেওয়ার অপচেষ্টা থেকে বিরত না থাকলে—জনতাই শেষ বিচার করবে।