রহমত নিউজ 02 October, 2025 07:04 PM
রাজধানীতে কল্যাণময় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইমামদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় ইমাম পরিষদের উদ্যোগে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা বলেন, আদর্শ সমাজ ও কল্যাণময় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইমামদের ভূমিকা অপরিহার্য। দেশ ও দেশের জনগণের কল্যাণে ইমাম সমাজ যে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তা খুবই প্রশংসনীয়। ইমাম ও খতিবগণ জুমুআর খুতবায় যেমনিভাবে নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাত সম্পর্কে আলোচনা করেন , তেমনিভাবে সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি, চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ইত্যাদি সামাজিক অপরাধ সম্পর্কেও জনগণকে সচেতন করে তুলেন। ইমামগণ ধর্মীয় ও নৈতিক বিষয়ে নির্দেশনা দেন, সমাজে বিদ্যমান সমস্যাগুলো তুলে ধরে কোরআন-হাদিসের আলোকে এর সমাধান জাতি সামনে তুলে ধরেন। মুসল্লিদের হালাল-হারাম ও আখেরাতের কথা বলে মানুষকে অপরাধ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেন, মাদকাসক্তি দূর, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূলে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন। সমাজ থেকে নিরক্ষরতা দূরি করনে প্রতিটা মসজিদে সকালের মক্তব পরিচালনা করে।
জাতীয় ইমাম পরিষদের সভাপতি মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহিয়ার সভাপতিত্বে এবং পরিষদের মহাসচিব মুফতী আ ফ ম আকরাম হুসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন,হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সহসভাপতি মাওলানা আবদুল কাইয়ুম সুবহানী, ইসলামী আন্দোলনের বাংলাদেশের নেতা আলহাজ্ব মোঃ আব্দুর রহমান, মাওলানা এনামুল হক মুসা, মাওলানা ড. শহীদুল ইসলাম ফারুকী, মাওলানা শাঈখ উসমান গণী, মুফতী সুলতান মহিউদ্দিন, মাওলানা তাজুল ইসলাম আশরাফী, মাওলানা রাশেদ বিন নূর, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম কাসেমী, মুফতী ফয়জুল্লাহ বিন মুখতার, মুফতী ওমর ফারুক যুক্তিবাদী, মুফতী মুহাম্মদুল্লাহ নোমানী, মুফতী আমানুল্লাহ বসন্তপুরী, মুফতী সালীমুল্লাহ খান সালীম, মুফতী সাইফুল্লাহ নোমানী, মাওলানা আবদুল গাফফার, মাওলানা শহীদুল ইসলাম, মাওলানা শফীউদ্দীন জিহাদী ও মাওলানা কামাল উদ্দীন নোমানী প্রমুখ।
আলোচনা সভায় তারা বলেন, আদর্শ সমাজ ও কল্যাণময় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইমামদের ভূমিকা অপরিহার্য। দেশ ও দেশের জনগণের কল্যাণে ইমাম সমাজ যে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তা খুবই প্রশংসনীয়। ইমাম ও খতিবগণ জুমুআর খুতবায় যেমনিভাবে নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাত সম্পর্কে আলোচনা করেন , তেমনিভাবে সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি, চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ইত্যাদি সামাজিক অপরাধ সম্পর্কেও জনগণকে সচেতন করে তুলেন। ইমামগণ ধর্মীয় ও নৈতিক বিষয়ে নির্দেশনা দেন, সমাজে বিদ্যমান সমস্যাগুলো তুলে ধরে কোরআন-হাদিসের আলোকে এর সমাধান জাতি সামনে তুলে ধরেন। মুসল্লিদের হালাল-হারাম ও আখেরাতের কথা বলে মানুষকে অপরাধ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেন, মাদকাসক্তি দূর, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূলে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন। সমাজ থেকে নিরক্ষরতা দূরি করনে প্রতিটা মসজিদে সকালের মক্তব পরিচালনা করে।
সভাপতির বক্তব্যে মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া বলেন, দেশ ও জনগণের পক্ষে জীবন উৎসর্গ করে মেহনত করে যাচ্ছেন সে ইমামগণ অত্যন্ত অবহেলিত। অনেকেই সীমাহীন অভাব-অনটন, দুঃখ-দুর্দশার মধ্যে জীবন যাপন করছেন। দেশের প্রায় তিন লাখ খতিব-ইমামের সচ্ছলভাবে জীবন যাপনের ব্যাপারে সরকারের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই।
এ ব্যাপারে দ্রুত যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন ইমাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ।