রহমত নিউজ 23 April, 2025 12:46 PM
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দসহ সকল নিরপরাধ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে করা রাজনৈতিক ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আইন উপদেষ্টার সাথে বৈঠক করেছেন হেফাজত নেতা মুফতী হারুন ইজহার।
বুধবার (২২ এপ্রিল) এক ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হেফাজত নেতা মুফতী হারুন েইজহার। এর আগে সকাল ১০টা ২৭ মিনিটে দেওয়া এক পোস্টে হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে করা রাজনৈতিক ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
মুফতী হারুন ইজহার তার ফেসবুক পোস্টে লিখেন, “মাজলুমদের জন্য আমাদের দীর্ঘ দিনের মানবিক আইনি সহয়তার তাগাদায় রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট অথোরিটির সাথে আমরা সংলাপে বসেছি দফায় দফায়। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা আইন উপদেষ্টা মহোদয়ের সাথে একান্ত বৈঠক করেছি। আইন উপদেষ্টাকে আমরা বিস্তারিত ব্রিফিং করেছি।”
তিনি আরও লিখেন, “আমীরে হেফাজতের সালাম সহ আমরা আলেম ওলামা এবং নিরীহ ইসলামপন্থী ও অসহায় সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে আরোপিত মামলাগুলো প্রত্যহারের আবেদন আইন উপদেষ্টা বরাবর জমা করেছি। তিনি আন্তরিকতার সাথে তা গ্রহণ করে মন্ত্রনালয়ের সংশ্লিষ্ট সিনিয়র একজন মেধাবী কর্মকর্তাকে সমন্বয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন “
স্বৈরাচার হাসিনাকে লেডি ফেরআউন আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “লেডি ফেরআউনের পতনের পর থেকে,এমনকি আরো আগে থেকে কারাগারে বন্দী নিরপরাধ আলেম ও সাধারণ অসহায় মাযলুমদের জন্য নিরলস কাজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। বার-বার কারাভোগের পর নির্যাতিত মানুষের কষ্টগুলো সরাসরি উপলব্ধি করার যে সুযোগ আমার তৈরী হয়েছে, সে মানবিক আবেগের জায়গা থেকে মজালুমদের কল্যাণে এগিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিই। ফ্যাসিবাদের আমলে যে বিচারিক যুলম্ প্রতিষ্ঠিত হয়, তা এক জগদ্দল পাথরে পরিণত হয়। তথাকথিত সিস্টেমের মাঝে আটকে পড়ে অসংখ্য নিরীহ মানুষ। এসব সরাসরি অভিজ্ঞতা থেকে না দেখলে বুঝানো সম্ভব না “
তিনি লিখেন, “আমরা ভিকটিমদেরকে শুধু মানবিক সাহায্য করিনি, বরং কাউন্সিলিং ও মোটিভেশন করেছি। যেখানে জিরো টলারেন্সের নামে আওয়ামী সরকার সংকটকে আরো জটিল করে তুলেছিলো। একটা নিরাপদ বাংলাদেশের জন্য আমরা মনে করি এ কাজগুলো জরুরি ছিলো।”
রাষ্ট্রকে আরো উদ্যোমি, আরো মানবিক, আরো আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানায় মুফতী হারুন ইজহার।