| |
               

মূল পাতা ইসলাম দফ নিয়ে গুরুতর আপত্তি তুললেন নাশিদ শিল্পী মুশফিক বিন জামাল


দফ নিয়ে গুরুতর আপত্তি তুললেন নাশিদ শিল্পী মুশফিক বিন জামাল


রহমত নিউজ     09 December, 2024     11:44 AM    


মাহফিল এবং ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোতে বেড়েছে দফের ব্যবহার। এটিকে অনেকেই বাদ্যযন্ত্রের বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করছে। এবার সেই দফ নিয়ে আপত্তি তুলেছেন জনপ্রিয় নাশিদ শিল্পী মুশফিক বিন জামাল। 

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) তার ফেসবুক ভেরিফায়েড একাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এই আপত্তি জানান। 

নাশিদ শিল্পী মুশফিক বিন জামান সেই পোস্টে বলেন, আপনারা আপনাদের মাহফিল বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য আমাকে ভালোবেসে দাওয়াত দেন, এটা আমার জন্য গর্বের। মাদরাসায় শিক্ষকতার পাশাপাশি যতদূর সম্ভব, আমি দ্বীনের খাতিরে এই কাজ আঞ্জাম দিয়ে থাকি। মিউজিকমুক্ত নাশীদ গেয়ে মানুষকে মিউজিকযুক্ত গান থেকে ফিরিয়ে রাখার চেষ্টা করি। জিহাদী নাশীদ গেয়ে ঘুমন্ত মু'মিনদেরকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করি। শিল্পী দেখতে না পারা বড় বড় আলেমরা আমাকে বুকে টেনে নেন, এটাই আমার সফলতা।

‘কিন্তু কোনো কোনো প্রোগ্রামে গিয়ে আমি দেখতে পাই, স্টেইজে দফ বাজিয়ে গজল গাওয়া হচ্ছে। আমি এটা মানতে পারি না। আবার কোথাও গিয়ে দেখি, ব্যানারে বড় করে আমার ছবি টাঙ্গানো হয়েছে। এটাও আমি মানতে পারি না। এই কাজে আমি ততক্ষণ পর্যন্ত থাকবো, যতক্ষণ পর্যন্ত এসব হারাম কাজ আমাকে দিয়ে না করবেন। নাহয় এই অঙ্গন থেকে বিদায় নেবো।’

তিনি বলেন, দফ বাজানো হারাম নাকি হালাল, সে ব্যাপারে ফতুয়া দেবেন মুফতি সাহেবরা। আমি ছোটখাটো এক মাওলানা। ফতুয়া দেয়ার অধিকার আমার নাই। কিন্তু, সেদিনের এক প্রোগ্রামে দফ বাজানো হচ্ছিলো। আমি গিয়ে স্টেইজে উঠতেই দফের দিকে তাকালাম। দফটির চার পাশে টিন দিয়ে মুড়ানো। আঙ্গুলে থাকা লোহার আংটির সাহায্যে সেই টিন থেকে একটা শব্দ বের করা হচ্ছে, অপর হাত দিয়ে দফের মাঝ বরাবর আঘাত করে ঢোলের শব্দ করা হচ্ছে। অর্থাৎ, একটা গানে বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করলে যে আওয়াজ দেয়া সম্ভব, সেইম আওয়াজটাই এখান থেকেও আদায় করা হচ্ছে। এবার মুফতি সাহেবদের কাছে ফতুয়া চাই, এই দফ কি হালাল?

‘আরেক জায়গায় একদিন প্রোগ্রামে গিয়ে দেখি সেখানের শিল্পীরা হাতে এসব বাদ্যযন্ত্র নিয়ে স্টেইজে উঠছেন। আমার চোখে পড়ার সাথেসাথেই আমি কর্তৃপক্ষকে জানালাম, স্টেইজে এসব বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করা হলে আমাকে এখনই বিদায় দেন। নিজ ভাড়া দিয়ে এসেছি, নিজ ভাড়ায়ই চলে যাবো। তারপর কর্তৃপক্ষ তাদেরকে সেসব বাজাতে দেননি। আল্লাহ তাঁদেরকে ক্ববুল করুন।’

তিনি আয়োজকদের সতর্ক করে বলেন, পরবর্তীতে যদি আমি কখনো কোনো প্রোগ্রামে গিয়ে দেখি হালাল দফ বাজানো হচ্ছে বা ব্যানারে ছবি প্রিন্ট করা হয়েছে, আমি কাউকে কিছু না বলে সাথে-সাথেই সেখান থেকে উল্টোদিকে রওয়ানা হবো ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ আমাদেরকে গুনাহমুক্ত জিন্দেগী দান করুন।