| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ইসলামী দল ফ্যাসিবাদ মুক্ত দেশগঠনে রাসুলের সিরাত অনুসরণ অপরিহার্য : চরমোনাই পীর


ফ্যাসিবাদ মুক্ত দেশগঠনে রাসুলের সিরাত অনুসরণ অপরিহার্য : চরমোনাই পীর


রহমত নিউজ     09 November, 2024     09:32 PM    


ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, ফ্যাসিবাদ মাফিয়াতন্ত্রমুক্ত দেশগঠনে রাসুলের সিরাত অনুসরণ অপরিহার্য।  রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সিরাত থেকে দূরে থাকার ফলে ফ্যাসিবাদ, বৈষম্য, বেইনসাফ ও কায়েমি স্বার্থবাদগোষ্ঠী আমাদের ওপর চেপে বসেছে। ইসলাম ছাড়া কোথাও শান্তি নেই। শান্তি ও মুক্তির একমাত্র ঠিকানা হলো ইসলাম। কিছু বুদ্ধিজীবী আজ দেশকে নতুনভাবে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ৯টায় রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপেস্নামা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত উন্নতি-অগ্রগতি ও মানবিক বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সিরাত শীর্ষক জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মুফতী রেজাউল করীম বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে নীতি আদর্শ নিয়ে আসছে সেই নীতির অনুসরণ ছাড়া সাম্য মানবিক মর্যাদা ও সমাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। ৫ আগস্টের পূর্বে দেশে যা ঘটানো হয়েছে তা মনুষ্য সমাজে ঘটতে পারে না। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময় ইসলানী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা জীবনবাজি রেখে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের জানমাল রক্ষায় কাজ করেছে। আর এটাই ইসলামের শিক্ষা।

তিনি বলেন, আমাদের দেশ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা নিরাপদে আছেন এবং নিরাপত্তার সাথে আছেন। আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘু ইস্যুকে ট্রাম্পকার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছে। এদেশের জনগণ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা রুখে দিয়েছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ে তিনি অন্তর্র্বতীকালীন সরকারে সতর্ক করে বলেন, দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতায় নাগালে রাখুন। সিন্ডিকেট ভেঙে দিন। কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী সার ও বীজ সরবরাহ বৃদ্ধি এবং সারের দাম কমিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে এতে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ, মাওলানা লিয়াকত আলী, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা মুহাম্মাদ যাইনুল আবিদীন, মুফতি ওয়ালিউর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আলহাজ আলতাফ হোসাইন, আলহাজ আনোয়ার হোসাইন, আলহাজ আবদুল আউয়াল, ডা. শহীদুল ইসলাম, মাওলানা আবদুর রাজ্জাক, নুরুজ্জামান সরকার, কেএম শরীয়াতুল্লাহ, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, ফজলুল হক মৃধা, আলহাজ নজরুল ইসলাম খোকন, মাওলানা নজরুল ইসলাম, এইচ এম রফিকুল ইসলাম, এম এম শোয়াইব, নাযির আহমাদ শিবলী প্রমুখ।