রহমত নিউজ 03 August, 2024 05:52 PM
সরকারকে জুলুম-অত্যাচারের পথ বন্ধ করে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে দ্রুত পদত্যাগ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।
তিনি বলেন, সরকারের দাম্ভিকতা ও একগুঁয়েমির ফলে আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এবং প্রতিনিয়ত হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলছে । দেশে এখন এক অচল ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এসবের দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারে না। ইতিহাস স্বাক্ষী জেল, জুলুম, হত্যা ও নির্যাতন করে কোনো জাতিকে দাবিয়ে রাখা যায়নি।
আজ শনিবার (৩ আগস্ট) রাজধানীর পুরানা পল্টনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা মামুনুল হক বলেন, একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে যে কেউ তাদের যৌক্তিক দাবী জানাতে পারে। কিন্তু একটি বিনা ভোট, রাতের ভোট আর ছলচাতুরীর ভোটে ক্ষমতা দখলকারী সরকার ও তার প্রধান এতটাই দাম্ভিক এবং উদ্ধত যে, তারা তাদের মতের বিপরীত কোন কথা সহ্য করতে পারেনা। জনগণের প্রশ্ন, শিক্ষার্থীরা তো এমন কোনো অযৌক্তিক আহামরি দাবি-দাওয়া নিয়ে রাজপথে নামেনি, যা পূরণ করতে এতগুলো তাজা প্রাণ কেড়ে নিতে হবে! অসংখ্য মানুষকে সারা জীবনের জন্য পঙ্গুত্বের দিকে ঠেলে দিতে হবে! শিক্ষার্থীদের ন্যায়সঙ্গত ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সংঘাতময় পর্যায়ে আনার জন্য সরকারই দায়ী। সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের সশস্ত্র নেতাকর্মীদেরকে আন্দোলনকারীদের পেছনে লেলিয়ে দিয়ে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে শক্তি প্রয়োগ করে, এমনকি নির্বিচারে গুলি চালিয়ে তাদেরকে দমন করতে চাওয়ার কারণেই গোটা দেশ আজ অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রসমাজের এই যৌক্তিক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষদের গণগ্রেফতার করা হচ্ছে। রিমান্ডে নিয়ে লোমহর্ষক নির্যাতন করা হচ্ছে। বিভিন্ন জনকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। সরকার দলীয় নেতাকর্মীগণ হামলা মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করছে। অনুমতি ব্যতিত ফোন-ব্যাগসহ ব্যাক্তিগত আসবাবপত্র চেক করে মানুষের ব্যাক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে।। কোনো সভ্য সমাজ ও রাষ্ট্রে এর কোনো নজির নেই। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
সংগঠনের আমীর মাওলানা ইসমাঈল নুরপুরীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, নায়েবে আমীর মাওলানা রেজাউল করিম জালালী, মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী, মুফতী সাঈদ নুর, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা কোরবান আলী কাসেমী, মাওলানা আব্দুল আজীজ, মুফতি শরাফত হোসাইন, মাওলানা মহবুবুল হক, মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, অফিস ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, সাংগঠনিক সম্পদক মাওলানা এনামুল হক মুসা, মাওলানা মুহাম্মদ ফয়সাল, মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, মাওলানা আবু সাঈদ নোমান, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা সামিউর রহমান মুসা, কেন্দ্রীয় বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা নিয়ামতুল্লাহ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা মুহসিনুল হাসান, কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশীদ ভ’ইয়া, সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা শরীফ হোসাইন, সহ-বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য মাওলানা সাব্বির আহমদ উসমানী, মাওলানা জসিম উদ্দীন, মাওলানা রুহুল আমীন খান, মাওলানা মুহসিন উদ্দীন বেলালী, মাওলানা হেদায়াতুল্লাহ হাদী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মুফতি নুর মোহাম্মদ আজিজী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ছানাউল্লাহ আমিনী, ইসলামী ছাত্রমজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আশিকুর রহমান জাকারিয়া প্রমুখ।