মফস্বল ডেস্ক 08 July, 2024 08:21 PM
হিজড়াকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা সীমান্তে ফেলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বিরুদ্ধে।
সোমবার (৮ জুলাই) সকালে সীমান্ত থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। আহত তৃতীয় লিঙ্গের ওই সদস্যের নাম কিরণ (৪৫)। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লায় এলাকার মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে।
জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ১১ জনের হিজড়ার একটি দলের সঙ্গে রাতের আঁধারে কিরণও কাজের খোঁজে বাংলাবান্ধার ৭৩২ নাম্বার পিলার এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন। এ সময় অন্যরা পালাতে সক্ষম হলেও বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে কিরণ। একপর্যায়ে তাকে মারধর করে হাত-পা ভেঙে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ফেলে দেয় বিএসএফ সদস্যরা।
এরপর সোমবার ( ৮ জুলাই) সকালে আহত কিরণকে বিজিবির মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ উদ্ধার করে প্রথমে তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে দুপুরে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।
গুরুতর আহত কিরণ বলেন, ভারতে নাকি কাজ পাওয়া যায় এবং রোজগারও বেশি। এ জন্য ১০ জনের সঙ্গে আমিও ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। দালালদের ১০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। মধ্যরাতে তারা সীমান্তে দৌড় দিতে বললে, আমার দলের ১০ জন দৌড়ে চলে যায়। আর আমি পড়ে গেলে বিএসএফ আমাকে ধরে তিন ঘণ্টা পিটিয়ে সীমান্তে ফেলে যায়। পরে বিজিবি সদস্যরা আমাকে উদ্ধার করেন।
তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফজলে রাব্বি বলেন, কিরণকে বিএসএফ ব্যাপক মারধর করেন। বিজিবির মাধ্যমে তাকে উদ্ধার করে সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জিয়াউল হক বলেন, তিনি অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করেছিলেন। বিজিবি বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।