মূল পাতা আন্তর্জাতিক দোষী সাব্যস্ত ট্রাম্প, সাজা ঘোষণা ১১ জুলাই
আন্তর্জাতিক ডেস্ক 31 May, 2024 02:10 PM
পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেয়ার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ( ৩০ মে) নিউইয়র্কের একটি আদালত এ রায় দেন। ওই মামলায় আনা ৩৪টি অভিযোগের সব কটিতেই দোষী প্রমাণিত হয়েছেন রিপাবলিকান এই নেতা। খবর বিবিসির।
বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের আদালতে দুই দিনের আলোচনার পর ১২ জুরি ট্রাম্পকে আলোচিত এ মামলায় ৩৪টি অভিযোগেই দোষী সাব্যস্ত করেন। আগামী ১১ জুলাই এ মামলায় ট্রাম্পের সাজা ঘোষণা করা হবে। সাবেক এ প্রেসিডেন্টের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে আইনজ্ঞরা বলছেন, তাঁকে জরিমানা করার সম্ভাবনাই বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পই দোষী প্রমাণিত হওয়া প্রথম একজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী যিনি প্রধান একটি দল থেকে দেশটির আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার পর আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, এটা তাঁর জন্য মর্যাদাহানিকর। তিনি ন্যায়বিচার পাননি। আদালতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে যাবেন। ধারণা করা হচ্ছে এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন তিনি।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা এই মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০৬ সালে স্টর্মি ড্যানিয়েলস নামে এক পর্ন তারকার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ট্রাম্পের। পরে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে মুখ না খুলতে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে স্টর্মিকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেওয়া হয়। তাঁর হাতে এ অর্থ তুলে দিয়েছিলেন ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেন। তবে ব্যবসায়িক নথিপত্রে এ লেনদেনের তথ্য গোপন করা হয়েছিল। তবে এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন ট্রাম্প।
নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে দীর্ঘ পাঁচ সপ্তাহ ধরে শুনানির পর বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন ১২ জন বিচারকের একটি বেঞ্চ। এর আগে তাঁরা রায় নিয়ে ১১ ঘণ্টা আলাপ-আলোচনা করেছেন। এমন সময় এ রায় ঘোষণা করা হলো, যখন কয়েক মাস বাদেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
তবে এটাই কিন্তু ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একমাত্র মামলা নয়। ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল বদলে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে বর্তমানে একটি মামলা চলছে। এ ছাড়া প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেয়াদ শেষের পর হোয়াইট হাউস থেকে সরকারি গোপন নথিপত্র সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে করা আরও একটি মামলা ঘাড়ে নিয়ে ঘুরছেন তিনি।