রহমত নিউজ 15 January, 2024 08:26 PM
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বাবার জানাজায় ছাত্রদল নেতাকে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে আনার বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, তিনি কয়টি মামলার আসামি? তাকে কেন ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে আনতে হবে। একের পর এক এ ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকলে আমরা অসভ্য জাতিতে পরিণত হতে পারি। রাষ্ট্রের নাগরিকদের জেলে আটকে রাখার মধ্যে কোনো ক্রেডিট নেই।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) ‘বাবার জানাজায় ডাণ্ডাবেড়ি পায়ে ছাত্রদলের নেতা’ শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনা হলে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে এনে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনার আরজি জানান আইনজীবী কায়সার কামাল। আদালত বলেন, ‘আমরা দেখেছি।’ তখন কায়সার কামাল বলেন, একের পর এক এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। রাষ্ট্র দিন দিন নাগরিকদের প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করছে।
আদালতে কায়সার কামালের সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. মাকসুদ উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্যারোলে মুক্ত হয়ে বাবার জানাযায় অংশ নিয়েছেন পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামে ছাত্রদল নেতা মো. নাজমুল মৃধা। জানাযার সময় তার পায়ের ডাণ্ডাবেড়ি খোলা হয়নি। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে ছাত্রদল নেতা তার বাবার জানাজায় অংশ নেন। নাজমুল মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। জানাজা শেষে তাঁকে আবার পটুয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।