রহমত নিউজ ডেস্ক 30 November, 2023 08:10 PM
চলমান গণ–আন্দোলনকে গণবিস্ফোরণে রূপ দিয়ে সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরোনোর ঘোষণা দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, একতরফা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎকে সংকটাপন্ন করে তুলেছে সরকার।
আজ (৩০ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীতে নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে চলমান আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বিক্ষোভ মিছিল–পরবর্তী প্রতিবাদ সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন। তোপখানা রোডের মেহেরবা প্লাজার সামনে থেকে বের হয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি পল্টনের দৈনিক বাংলার মোড় হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আসে। মিছিল থেকে হরতালকে সমর্থন জানানোর পাশাপাশি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বন্ধ করা ও সরকারের পদত্যাগের দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়।
মিছিল–পরবর্তী সমাবেশ শুরু হয় ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে। সমাবেশে বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের নেতা শহীদ উদ্দিন মাহমুদ। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের হাবিবুর রহমান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আকবর খানসহ গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতারা।
সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, এই কর্তৃত্ববাদী সরকার প্রহসনমূলক একতরফা নির্বাচনের ভেতর দিয়ে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎকে সংকটাপন্ন করে তুলেছে। বিরোধী দলকে দমনের নামে জুলুম নির্যাতন, দমন–পীড়নের মধ্য দিয়ে নাগরিক জীবনকে যন্ত্রণাময় করে তুলেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কায় পড়েছে দেশের অর্থনীতি। ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে পোশাকশিল্পে। এই অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করতে গণ–আন্দোনকে গণবিস্ফোরণে রূপ দিয়ে চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জন করতে হবে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, সরকার যে নির্বাচনের আয়োজন করেছে, তা নিজের দলের লোকদের মধ্যে আগামী পাঁচ বছরের জন্য বিভিন্ন এলাকার ইজারা নেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। এই ইজারা নেওয়ার নির্বাচন প্রতিহত করতে হবে।
সমাবেশে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, এমন কোনো দিন নেই, যে দিন মিথ্যা মামলা দিয়ে শত শত রাজনীতিবিদকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। রাজনীতিকদের পাওয়া না গেলে তাঁদের স্ত্রী–সন্তানদের পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কেউ সত্য কথা বললে, সরকারের লুটপাট, দুর্নীতি, বিদেশে অর্থ পাচারের কথা বললেই তাঁদের ওপর নেমে আসছে জুলুম–নির্যাতন। এটা বন্ধ করতে হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, জনগণ আজ সারা দেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল পালনের মধ্য দিয়ে এই সরকার ও তাদের নীল নকশার নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে। সরকার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য বিরোধী দলগুলোর ওপর নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করছে। কিন্তু এবার আর আগের দুই নির্বাচনের মতো ভোটারবিহীন নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।