রহমত নিউজ ডেস্ক 13 November, 2023 07:49 PM
জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনরত বিরোধী দলগুলোর দাবি মেনে নিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, একতরফা নির্বাচন দিয়ে দেশকে নিশ্চিত সংঘাতে ঠেলে দিবেন না। জনগণের মনের কথা বুঝার চেষ্টা করুন। জনগণ সরকারকে আর এক মুহুর্তও ক্ষমতায় চায় না। একতরফা নির্বাচন দিয়ে দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়া কোনো দেশপ্রেমিক মানুষের কাজ হতে পারে না। সরকারের মনোবাসনা পূরণে একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা দিবেন না। দেশকে আরো বিপর্যয়ের দিকে পতিত করবেন না। প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশন থেকে পদত্যাগ করে দেশকে রক্ষা করুন। সঙ্কট থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করুন।
আজ (১৩ নভেম্বর) সোমবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ কার্যালয়ে দেশের চলমান সঙ্কটজনক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনাকালে উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা নেছার উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, সহকারি দফতর সম্পাদক হাফেজ মাওলানা নুরুল করীম আকরাম, মুফতী মোস্তফা কামাল, শহিদুল ইসলাম কবির প্রমূখ।
মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে নির্বাচন কমিশনসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বয়ংক্রিয় ও কার্যকর করা যায়নি। ফলে নির্বাচনকালীন সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাড়ায়। যার প্রেক্ষিতে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে ১৯৯৬ সালে দেশে সার্বজনীন রাজনৈতিক ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। তার সুফলও জাতি পেয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সার্বজনীন সমর্থিত এই ব্যবস্থাকে আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে হত্যা করেছে। বিরোধী দলের অবরোধ ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সহিংস ভাষায় কথা বলছে। জায়গায় জায়গায় মহড়া দিয়ে দেশে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে সরকার দলীয় লোকজন। ক্ষমতাসীনদের সীমাহীন ক্ষমতা লিপ্সার কারণে সৃষ্ট রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের ভয়াবহতা ৩ নভেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরেছিলাম। সরকার নিজেদের স্বার্থে ১৭বার সংবিধান সংশোধন করেছে। জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করে জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানান তিনি।