রাজধানীতে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের বিক্ষোভ

পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা ঘোষণার দাবি ও শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ।

রোববার (৫ নভেম্বর) ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ মিছিল করে দলটি।

এতে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হাফেজ মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা ঘোষণা দিতে হবে। সেইসাথে শ্রমিক হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশের উন্নতি-অগ্রগতির মূল চাবিকাঠি হচ্ছে শ্রমিকগণ। কিন্তু আজকে গার্মেন্টস শ্রমিকরা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত। বাজারে সবধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে, কিন্তু শ্রমিকদের বেতন তো বাড়েনি। তারা তো বাড়ি-গাড়ি-এসি দামি কিছু চায়নি। তারা মোটা চালের ভাত আর আলুভর্তা-ডাল খেতে চেয়েছে। শ্রমিকরা কষ্ট করে জীবনযাপন করছে। কিন্তু তারা ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করলে, তাদের ওপর অত্যাচার করা হয়। আমরা চাই, তাদের ন্যায্য মজুরি বাস্তবায়ন করা হোক। আর যারা শ্রমিকদের ওপর হামলা করেছে, অনতিবিলম্বে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হোক।

ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ওমর ফারুকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ খলিলুর রহমান, সংগঠনের গার্মেন্টস বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ হারুন অর রশিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি মুস্তফা কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক হাফেজ রফিকুল ইসলাম, সিলেট বিভাগ সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব শাহাদাত হোসেন, আলহাজ্ব শামীম খান, হাফেজ ওবায়দুল্লাহ ও হাফেজ শাহাদাত প্রধানিয়া প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। 

ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান বলেন, গত কয়েকদিন ধরে যেভাবে শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে, চাকরি থেকে ছাটাই করা হচ্ছে— তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। মিরপুরে শ্রমিকরা যখন তাদের ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করছে, তখন সরকারের পেটোয়া বাহিনী তাদের ওপর নির্যাতন করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। একইসঙ্গে  আমরা গাজীপুরে যে শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে,সে ঘটনারও  নিন্দা জানাই। 

গার্মেন্টস বিষয়ক সম্পাদক হারুন অর রশিদ বলেন, শ্রমিকরা ২৫ হাজার টাকা বেতনের দাবিতে আন্দোলন করছে। তারাতো বেশি কিছু চায় না। কিন্তু সরকার মালিকদের সঙ্গে যোগসাজশ করে শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করেছে। অথচ শ্রমিকরা দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতেই কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু সরকার মালিকদের পক্ষে কথা বলছে।

তিনি আরও বলেন, আমি দাবি জানাবো, শ্রমিকদেরকে তাদের ন্যায্য  মজুরি ২৫ হাজার টাকা দিতে হবে। তাদের রেশনিং ব্যবস্থা করতে হবে। আর যারা আহত-নিহত হয়েছে, তাদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যদি তা না করা হয়, তাহলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।