| |
               

মূল পাতা শিক্ষাঙ্গন কওমি মাদরাসাকেও মূলধারার শিক্ষায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছি : শিক্ষামন্ত্রী


কওমি মাদরাসাকেও মূলধারার শিক্ষায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছি : শিক্ষামন্ত্রী


রহমত নিউজ ডেস্ক     12 October, 2023     09:00 PM    


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, কওমি মাদরাসায় এখনো আমরা নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে প্রবেশ করতে পারিনি। আশা করি- নতুন শিক্ষাক্রম ও বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা নিয়ে আমরা সেখানে প্রবেশ করতে পারবো। ধীরে ধীরে কওমি মাদরাসাকে নতুন শিক্ষাক্রমের আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা করা হবে। কওমি মাদরাসাকেও মূলধারার শিক্ষায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছি আমরা। হুট করে নতুন শিক্ষাক্রমে কওমি মাদরাসাকে আনা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ভবিষ্যতে কওমি মাদরাসাকে নতুন শিক্ষাক্রমের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীতে হোটেল সোনারগাঁওয়ে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) আয়োজিত ‘বিশেষ মতবিনিময়’ সভায় শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক নেতা ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা কওমি মাদরাসাকে নতুন শিক্ষাক্রমে বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থার আওতায় আনতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। তারা বলেন, কওমি মাদরাসায় ঢুকলে মনে হয় অন্য রাষ্ট্রে চলে এসেছি। তারা মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর কথা জানেন না। এখনো বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার বাইরে আছেন। দেশের শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ কওমি মাদরাসায় অধ্যয়নরত। তাদের বাদ রেখে পুরো জাতিকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক নেতা ও সাংবাদিকদের প্রস্তাবনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এসব কথা বলেন।

 

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম। মুক্ত আলোচনা পর্ব সঞ্চালনা করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মুনজুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হালিম, একাত্তর টেলিভিশনের হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদ, সাংবাদিক মুন্নি সাহা প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় সংসদ সদস্য, শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, এনসিটিবি, শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন। তাদের মতামত বিবেচনা করে তা কাজে লাগানোর চেষ্টার কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ও এনসিটিবি কর্মকর্তারা।