| |
               

মূল পাতা জাতীয় ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানির আগ্রহ বাড়ছে’


‘বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানির আগ্রহ বাড়ছে’


রহমত নিউজ ডেস্ক     31 August, 2023     11:34 AM    


বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বিদ্যমান থাকায় দেশে মার্কিন কোম্পানি বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে মার্কিন কোম্পানিগুলোর আগ্রহ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান করতে মার্কিন কোম্পানি ইতিমধ্যে আগ্রহ দেখিয়েছে।

বুধবার (৩০ আগস্ট) সচিবালয়ে ইউএস–বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি এসব কথা বলেন। সাক্ষাতকালে উপস্থিত ছিলেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহিনা খাতুন, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মাসুম আহমেদ চৌধুরী, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, এক্সিলারেট এনার্জির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিভেন কোবস, ব্ল্যাক স্টোনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনন্দ ঝাঁ, এক্সোনমবিলের নতুন অপরচুনিটি ম্যানেজার জনাথন উইলসন, করটোভার গভ অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাফেয়ার পরিচালক আনুজা কাদিয়ান, এইচএসবিসি ব্যাংকের হেড অব মাল্টিন্যাশনাল আন্দালিব মির্জা ও দক্ষিণ এশিয়ার ইউ এস গ্রেইন্স কাউন্সিলের পরিচালক রিসি কানাডি। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, পায়রাতে গভীর সমুদ্রে আরেকটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল (এফএসআরইউ) স্থাপনের জন্য মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গ্যাস ও বিদ্যুৎ সঞ্চালন, স্মার্ট গ্রিড নির্মাণ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আধুনিক প্রযুক্তি স্থাপন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, অফশোর ও অনশোর বায়ুবিদ্যুৎ, লিথিয়াম ব্যাটারি কারখানা স্থাপন, সাইবার সিকিউরিটি, তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান প্রভৃতি খাতে বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে। প্রযুক্তি, অর্থায়ন ও অংশীদারত্ব পেলে বায়ু-ফুয়েল নিয়েও একসঙ্গে কাজ করা যাবে। বিদ্যুৎচালিত গাড়ি খাতেও বিনিয়োগ আসতে পারে। চার্জিং স্টেশন বা চার্জিং নীতিমালা করা হয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন ও সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের চ্যালেঞ্জ নিয়ে সরকার কাজ করছে। আগামী ১৫ বছরে বিদ্যুৎ খাতে প্রায় ৭৫ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।

বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করে ইউএস–বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সভাপতি অতুল কেশপ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে খুবই আগ্রহ দেখাচ্ছে। গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধান সম্ভব। বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে তেল-গ্যাসের দাম উত্তরোত্তর বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চায়। ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার প্রতিফলন, পারস্পরিক প্রতিশ্রুতি ও অভিজ্ঞতা আদান–প্রদান করতে পারলে দুপক্ষই লাভবান হবে।