রহমত নিউজ ডেস্ক 30 August, 2023 10:14 AM
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে মার্কিন ব্যবসায়ীদের মধ্যে কোনো ধরনের উদ্বেগ নেই। বাংলাদেশে স্বতঃস্ফূর্ত বিনিয়োগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা কোনো ধরনের ঝুঁকি দেখছেন না বরং বাংলাদেশের সম্ভাবনায় আশাবাদী যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসায়ীরা। চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কোনো সংশয় থাকলে নির্বাচনের আগে এত বড় ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল দেশে আসত না। উন্নত চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশের মানুষকে যেন আর বিদেশ যেতে না হয়, সেভাবেই স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগে আগ্রহী মার্কিন ব্যবসায়ীরা। মার্কিন কোম্পানিটি মনে করে, বাংলাদেশে ওই ধরনের অবকাঠামো তৈরি করা গেলে চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশিদের আর বিদেশ যেতে হবে না।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ভবনের কনফারেন্স রুমে ইউএস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাষ্ট্রিজের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বকে আরো গতিশীল করতে ইউএস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাষ্টিজের ৪০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সালমান এফ রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন। তালিকায় আছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইকুইটি কোম্পানি ব্ল্যাক স্টোন, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মেটা, জ্বালানি খাতের প্রতিষ্ঠান এক্সিলারেট এনার্জি, শেভরন, এক্সনমবিল ও উড়োজাহাজ কোম্পানি বোয়িং। বৈঠকে জ্বালানি, অ্যারো-স্পেস, ডিজিটাল ইকনোমি স্বাস্থ্যখাতসহ বেশ কয়েকটি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেন মার্কিন ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশের হেলথ কেয়ার সেক্টরে মার্কিন ব্যবসায়ীরা ভালো সম্ভাবনা দেখছেন জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, আমেরিকান জায়ান্ট প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এখানে অনেক বিনিয়োগ করছে। তারা আরও আগ্রহী। মার্কিন ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমরা যে স্মার্ট বাংলাদেশ করতে চাই, সেখানে তাদের অনেক সুযোগ আছে। তারা মনে করেন, বাংলাদেশে সম্ভাবনাটা খুব ভালোর দিকেই আছে। তাই মার্কিন কোম্পানিগুলো এখানে অনেক বিনিয়োগ করতে চায়। আমাদের দেশে বিনিয়োগ করতে চায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় ট্রিলিয়ন ডলারের মার্কিন ইকুইটি কোম্পানি ব্ল্যাক স্টোন। স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি, জ্বালানিসহ নানা খাতেও বিনিয়োগ বাড়াতে চায় যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো। স্মার্ট বাংলাদেশ করলে ক্রস বর্ডার ট্রানজেকশন ইলেকট্রনিক হবে। এটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক, আমাদের ইম্পোর্ট কন্ট্রোল, এগুলোর একটা সমন্বয় করতে হবে। কারণ এ লেনদেন অনেক দ্রুত হয়ে যায়। সেগুলো নিয়েও কথা হয়েছে। তাদের বলেছি, এসব বিষয় বাংলাদেশ ব্যাংক, আইসিটি মন্ত্রণালয় দেখছে। ইন্টারন্যাশনাল বেস্ট প্র্যাকটিস যেটা আছে। অন্যান্য দেশে যে রকম আইন আছে, আমরাও সেটাই করব।