রহমত নিউজ ডেস্ক 25 July, 2023 06:01 PM
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সরকার বলেছে ঢাকাকে অচল করতে দেয়া যাবে না। অথচ সরকার নিজেই ঢাকা অচল করে। ১৪-১৫ বছরে ক্ষমতায় থেকে সরকার দুঃশাসন চালাচ্ছে। দেশের সমস্ত মানুষ এখন তার অবসান চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- দেশের ৭০ ভাগ জনগণের সমর্থন তার রয়েছে। এই পরিমাণ সমর্থন থাকলে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন দেন। কিন্তু আপনারা সেটা দেবেন না। কারণ তারা জানে, তাদের পতনের ঘণ্টা বেজে গেছে। বিএনপির সমাবেশে এখন বানের পানির মতো মানুষ নামে। এক দফা আন্দোলনে আমরা মাঠে নামবো, রাষ্ট্র সংস্কারই এখন মূল আন্দোলন। আমরা সুন্দর একটা সমাজ গড়তে চাই। মানুষ যেন মৌলিক অধিকার নিয়ে বাঁচতে পারে। লড়াইটা চূড়ান্ত অভিধায় নিতে চাই, সমাজ বদলে দিতে চাই।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) প্রেস ক্লাবে গণতন্ত্র মঞ্চ কর্তৃক আয়োজিত ‘কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসন-সংকট উত্তরণে রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ স ম আবদুর রব, রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলা প্রমুখ।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, সরকারের বদল হয়, কিন্তু জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না। দেশে এখন একটা ফ্যাসিবাদী সরকার আছে, যারা সংবিধান মানে না। ৩১ দফা মূলত এক দফাতেই নিয়ে এসেছি। যেখানে আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি করেছি।
রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ৭১ সালে জনযুদ্ধের ভেতর দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন হয়েছিল গণতান্ত্রিক একটা আচরন প্রতিষ্ঠা করার জন্য। সে সংবিধানের লড়াই পাকিস্তানের শুরু থেকেই। কিন্তু সেখানে বিরোধও দেখা দেয়।পাকিস্তানের যে কাঠামোর কারণে মানুষ আন্দোলন করেছিল, সেটা ৭২ এর পরেও কাটেনি। দেশে এখন যে গণতান্ত্রিক লড়াই চলছে, তখন আমাদের একদফায় একটা কথাই উঠে আসে, যে সরকার ভেঙে দিতে হবে।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলা বলেন, ফ্যাসিবাদ যেভাবে আমাদের ঘাড়ে চেপে বসেছে, সেটা নির্মূল করতে হবে। এ পর্যন্ত যতবার সরকার বদল হয়েছে, তাতে কিন্তু মানুষের অবস্থানের পরিবর্তন হয়নি। আজকে ব্যবসায়ীরা ফ্যাসিবাদকে সমর্থন করছে। একটা কথা মনে রাখতে হবে ফ্যাসিবাদ টিকে থাকতে পারেনি। হিটলার, মুসৌলিনী, আইয়ুব খান কাউকেই ব্যবসায়ীরা রক্ষা করতে পারেনি। জনগণ আর এই সরকার চায় না, তাই তাদের বিরুদ্ধাচারণ করে আপনারা পার পাবেন না। ৩১ দফাকে আমরা গণঅভ্যুথানে রূপ দেব।