রহমত নিউজ ডেস্ক 11 July, 2023 03:12 PM
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা মহামারির সময়ও আমরা এ দেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ভুলে যাইনি। তাদের নিয়মিত টিকা, পরীক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়েছে। একথা ভুলে গেলে চলবে না, এদেশে আশ্রিত বিশাল জনগোষ্ঠীটি আমাদের অঞ্চলের জন্য মানবিক সংকট তৈরি করছে এবং নিরাপত্তার জন্যও হুমকি। কেবল সসম্মানে মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনই এই সংকটের টেকসই সমাধান। আমি আশা করি মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের দ্রুত সেদেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ন্যাশনাল কনফারেন্স অন পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সদস্য দেশসমূহের স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা অংশ নেন।
আঞ্চলিক সহযোগিতা সংক্রান্ত পাঁচ দফা প্রস্তাব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর সক্ষমতা আরো বাড়াতে হবে। এ জন্য নিবেদিত কূটনৈতিক তৎপরতার বিকল্প নেই। বাংলাদেশ পুরোভাগে থাকবে। আসুন, পুরো বিশ্ব একযোগে কাজ করি। গত সাড়ে ১৪ বছরে আমরা স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোঁড়ায় পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষায়িত হাসপাতাল, ইন্সটিটিউট গড়ে তোলা হয়েছে। সাড়ে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। বিনামূল্যে ইনসুলিন দেওয়া প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে আমরা জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি ২০১১ প্রণয়ন করেছি। এবার আমাদের লক্ষ্য দেশের জনগণের হাতে হেলথ আইডি কার্ড পৌঁছে দেওয়া। সে লক্ষ্যে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আমরা ডিজিটালাইজড করছি। দেশে প্রত্যেকের জন্য একটি হেলথ কার্ড হবে। এতে সবার স্বাস্থ্যের সব তথ্য থাকবে। অন্যান্য দেশেও এভাবে হেলথ কার্ড থাকে। নির্বাচনে জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমরা হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংখ্যা বাড়িয়েছি। একইসঙ্গে চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলোজিস্ট বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমরা বিভিন্ন মেডিকেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, কিডনি, গ্যাসট্রোলিভার, চক্ষু ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন বিশেষায়িত হাসপাতাল তৈরি করেছি। আমরা শিশু মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে এনেছি। কোভিডকালীন শিশুদের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ছিল অন্যতম।