| |
               

মূল পাতা রাজনীতি আওয়ামী লীগ ভোট চুরির নিকৃষ্টতম উদাহরণ সৃষ্টি করেছিল বিএনপি: ওবায়দুল কাদের


ফাইল ছবি

ভোট চুরির নিকৃষ্টতম উদাহরণ সৃষ্টি করেছিল বিএনপি: ওবায়দুল কাদের


রহমত নিউজ     04 July, 2023     03:56 PM    


সময় আর নেই, সরকারের সময় শেষ—বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্য শুধু অসাংবিধানিকই নয়, রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলকও বটে বলে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি ঐতিহ্যগতভাবে গণতন্ত্রবিরোধী ও ষড়যন্ত্রনির্ভর রাজনৈতিক দল। তারা অসাংবিধানিক পন্থায় ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা চালায়। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ বা সময়সীমা নির্ধারণের এখতিয়ার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বা বিএনপির নেই।

মঙ্গলবার (৪ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারের সময় নির্ধারণ করে দেওয়ার তিনি কে? জনগণ ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে সংবিধান অনুযায়ী নির্দিষ্ট মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব প্রদান করেছে। সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী নির্ধারিত মেয়াদ শেষে গণতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তন হবে।

ক্ষমতা দখলে বেপরোয়া বিএনপি বিদেশি প্রভুদের করুণালাভের আশায় মিলিয়ন ডলার খরচ করে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে বলে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের বিদেশি প্রভুরা নির্বাচন নিয়ে কী বলবে সেদিকে তারা মুখিয়ে থাকে। ক্রমাগতভাবে জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়ে দেশের জনগণের ওপর বিএনপি বিশ্বাস হারিয়েছে। বিদেশি প্রভুদের দ্বারা মদদপুষ্ট হয়ে তারা তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি নির্ধারণ করছে। ফলে বিএনপি কখনোই জনকল্যাণের নীতি গ্রহণ করতে পারেনি এবং জনগণও তাদের আহ্বানে সাড়া দেয়নি।

বিএনপি নেতাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না উল্লেখ করে কাদের বলেন, দলটি ক্ষমতায় এসে এ দেশের গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করেছিল, ভোট চুরির নিকৃষ্টতম উদাহরণ সৃষ্টি করেছিল। বিএনপি আমলে পরিচালিত অপশাসন ও দুর্নীতির কথা দেশবাসী ভুলে যায়নি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের জনগণ তাদের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য বারবার শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে নিরাপদ মনে করেছে। তাঁর নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার সর্বদা জনকল্যাণের নীতিকে প্রাধান্য দিয়ে সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে। উন্নয়নের অগ্রগতির এই ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনেও বাংলাদেশের জনগণ পুনরায় আওয়ামী লীগের পক্ষে রায় দেবে।