অনেক উন্নয়ন সহযোগী রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, দুঃখের বিষয় আমাদের অনেক উন্নয়ন সহযোগী রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আমি আজ তাকে (আমিনা) সেটি বলেছি আপনাদের যত উন্নয়ন সংস্থা তাদের উন্নয়ন কার্যক্রমে মনোযোগ দেয়া উচিত, রাজনীতিতে নয়। নির্বাচন যখন হবে তখন হবে। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিচ্ছি। সেটি নিয়ে আর কথা বলার কোনো প্রয়োজন নেই।

শনিবার (১ জুলাই) রাতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আমিনা জে মোহাম্মেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,আমরা উনার সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক আলোচনা করিনি। আমাদের সামনে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ প্রতিদিন চ্যালেঞ্জের মুখে থাকে। উন্নয়নের বড় চ্যালেঞ্জ আমাদের, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ বড় চ্যালেঞ্জ আমাদের। দারিদ্র্য বিমোচনও আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের দল আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ব।

তিনি আরো বলেন, আমাদের উল্টা দল নালিশ টালিশ করেন যেহেতু দেশের জনগণের কাছে তাদের আস্থা নাই। জনগণের প্রতি বিশ্বাস নেই। তাই তারা বিদেশিদের কাছে নালিশ করেন। এগুলো আপনারা বেঙ্গলে দেখেছেন, একটা সময় ব্রিটিশদের কাছে গিয়ে আমাদের দেশটাকে ২শ’ বছর পরাধীন ছিল। এ রকম ষড়যন্ত্রকারী সবসময় ছিল এখনও আছে। তবে জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। আমি জনগণকে আহ্বান জানাই যারা দেশ ধ্বংস করতে চায় তাদের বর্জন করুন। এ দেশের উন্নতি হলে দেশের যে যেই মতের বা দলের হোক তারও উন্নতি হবে। সুতরাং সবাই একসঙ্গে, দেশের যেন অনিষ্ট না হয়, বিদেশ থেকে ডেকে এনে যেন দেশের অনিষ্ট না হয় সেই কাজটিই করেন। তাহলে আপনাদের মঙ্গল, দেশের ও জনগণের মঙ্গল। আর আমরা জনগণের পার্ট। জনগণ যতদিন আমাদের চাইবে আমরা ততদিন তাদের সেবা করে যাবো। জনগণ যদি না চায় আমরা বাড়িতে বসে থাকব। আশা করি আগামীতে আমাদের যত দলমত আছেন তারা দেশটাকে ধ্বংস করবেন না। আর নালিশ টালিশ করে খুব লাভ হবে না।