রহমত নিউজ ডেস্ক 22 June, 2023 10:36 AM
২০২৩-২৪ অর্থবছরে শিক্ষার উপকরণ ও যন্ত্রপাতি বিশেষ করে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার ও কলমসহ অন্যান্য উপকরণের ওপর নতুন করে কর ও ভ্যাট বসানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বাজেট পাসের আগে এসব কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে গণস্বাক্ষরতা অভিযান। বুধবার (২১ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লেখা চিঠিতে এসব দাবি জানায় গণস্বাক্ষরতা অভিযানসহ শিক্ষা নিয়ে কাজ করা সহস্রাধিক সংগঠন ও লক্ষাধিক কর্মী।
চিঠিতে বলা হয়,আমাদের শিক্ষাক্ষেত্রে এখনও নানাবিধ প্রতিবন্ধকতা বিদ্যমান। শিক্ষাকে একক খাত হিসেবে বিবেচনা করে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে পারলে ধারাবাহিক অর্জনগুলো ধরে রাখা ও করোনা অতিমারীর কারণে সৃষ্ট ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। চিঠিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে ১২ দফা দাবিও তুলে ধরা হয়।
১২ দফা দাবি
১. ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে শুধুমাত্র শিক্ষা সেক্টরের জন্য ন্যূনতম ১৫% বরাদ্দ দেওয়া এবং ক্রমান্বয়ে ২০% বরাদ্দের রূপরেখা প্রণয়ন করা প্রয়োজন।২. আইসিটি ব্যবহারে দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি, প্লেন্ডেড লার্নিং পদ্ধতির প্রসারে শিক্ষকদের মৌলিক বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ, ডিজিটাল ক্লাসরুমসহ ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, নিরাপদ পানি এবং ওয়াশ ফ্যাসিলিটিজ নিশ্চিতে বরাদ্দ বাড়ানো।
৩. মানসম্মত শিক্ষার জন্য যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করতে শিক্ষানীতি ২০১০-এর নির্দেশনায় পিএসসি-এর আদলে পৃথক ‘শিক্ষক নিয়োগ কমিশন’ গঠন করা এবং শিক্ষকদের বেতন ও ভাতাদি পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন।
৪. প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তির পরিমাণ বাড়ানোর ধন্যবাদ জানিয়ে সংগঠনটি বলছে, ঝরে পড়া রোধে প্রাথমিক
পর্যায়ে ন্যূনতম ৫০০ টাকা এবং মাধ্যমিক পর্যায় ১,০০০ থেকে উপবৃত্তি দিতে হবে।৫. সকল বিদ্যালয়ে উচ্চ গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়ের জন্য এক্সেসিবল ডিভাইস প্রদান।
৬. শিক্ষা সহায়ক উপকরণ ও যন্ত্রপাতি বিশেষ করে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার ও কলমসহ অন্যান্য উপকরণের ওপর নতুন আরোপিত সকল কর ও ভ্যাট প্রত্যাহার করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
৭. মাধ্যমিক স্তরে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান বৈষম্য নিরসন করা।
৮. জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এর আলোকে একটি ‘সমন্বিত শিক্ষা আইন’ প্রণয়ন করা।
৯. প্রাইমারি স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামের (জুলাই ২০২০-২০২৬) আলোকে মূলধারার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে স্কুল মিল কার্যক্রম চালু।
১০. বিজ্ঞান শিক্ষাসহ উচ্চশিক্ষার প্রসার, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং বিদেশে কর্মসংস্থানের উপযোগী দক্ষতা অর্জন এবং ল্যাবরেটরির সুবিধা, ভাষা প্রশিক্ষণ ও স্বল্পমেয়াদি কোর্সের মান উন্নয়নের জন্য বাজেটে আরো অর্থ বরাদ্দ।
১১. শিক্ষাসংক্রান্ত গবেষণার জন্য সরকারি-বেসরকারি এবং সংশ্লিষ্ট দক্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোকে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিয়ে উৎসাহিত করা এবং জিও-এনজিও সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি ‘বিশেষ তহবিল’ গঠন।
১২. অতি সম্প্রতি গৃহীত ‘আয়কর আইনে’ এনজিওদের কোম্পানি আইনের আওতায় এনে নতুন করে যেসব কর প্রস্তাব করা হয়েছে, তা পুনর্বিবেচনা।