রহমত নিউজ ডেস্ক 20 June, 2023 10:25 PM
বন্যপ্রাণীদের খাদ্যের সংকট দূর করতে বেশি পরিমাণে ফলের গাছ লাগাতে বন অধিদফতরের কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশ দিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে বন্যপ্রাণীদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। এটা স্থায়ী কোনো সমাধান নয়, কারণ প্রকল্প শেষ হলে পুনরায় খাদ্যের অভাব দেখা দেয়। মাদারীপুরের চরমুগরিয়াসহ যে সকল এলাকায় বানর বা অন্য বন্যপ্রাণীর নিয়মিত খাদ্য প্রয়োজন সেখানে বেশি বেশি করে বন্যপ্রাণীর খাবার উপযোগী ফলের গাছ লাগাতে হবে। হাওর এলাকায় পুকুর ও বিল পুনঃখনন কাজ যথাসময়ে শেষ করতে হবে। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার শেখ রাসেল এভিয়ারি ও ইকোপার্ক, কক্সবাজার জেলায় সবুজ বেষ্টনী সৃজন, প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার এবং ইকো-ট্যুরিজম উন্নয়ন এবং সিলেট বন বিভাগে পুন:বনায়ন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের গুণগতমান বজায় রেখে কাজের আহবান জানান। প্রতিশ্রুতি মোতাবেক নীলফামারীর জলঢাকা, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া এবং ভালুকার হবিরবাড়ীতে ইকোপার্ক নির্মাণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য প্রধান বন সংরক্ষকের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।
মঙ্গলবার (২০ জুন) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির অগ্রগতি পর্যালোচনা ও ‘মাদারীপুর জেলার আওতায় বিদ্যমান চরমুগুরিয়া ইকোপার্কের আধুনিকায়ন’ শীর্ষক প্রকল্প নিয়ে সভায় নিজ বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে তিনি এ নির্দেশনা দেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, প্রকল্প পরিচালকগণ এবং মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
এর আগে, মন্ত্রী মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এতে ৯০০ উপকারভোগী কৃষকের প্রত্যেককে ১ বিঘা জমির জন্য ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি এমওপি সার দেয়া হবে।