| |
               

মূল পাতা জাতীয় তামাক ব্যবসায়ীদের পরোক্ষভাবে সুবিধা দেয়া হচ্ছে : সাবের হোসেন চৌধুরী


তামাক ব্যবসায়ীদের পরোক্ষভাবে সুবিধা দেয়া হচ্ছে : সাবের হোসেন চৌধুরী


রহমত নিউজ ডেস্ক     20 June, 2023     10:57 PM    


পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি বলেছেন, অর্থমন্ত্রী বাজেটে সব পণ্যের ওপর ভ্যাট-ট্যাক্স বাড়ান। কিন্তু শুধু একটি পণ্যের দাম সরাসরি বাড়ান। সেটি হলো তামাক ও তামাকজাত পণ্য। এর ফলে পরোক্ষভাবে তামাক ব্যবসায়ীদের সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে সংসদে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য অর্থমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। মঙ্গলবার (২০ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান। 

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, দেশে প্রতি বছর তামাকজনিত রোগে এক লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যান। কোভিডেও এতো মানুষ মারা যায়নি। কোভিডে তিন বছরে ৩০ হাজার লোক মারা গেছে। এরপরও কেন অর্থমন্ত্রী তামাক পণ্য উৎপাদনকারীদের প্রতি বছর বাজেটে সুবিধা দেন? তিনি বলে থাকেন, বাজেটে কর বাড়ানোর জন্য জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। আর অর্থমন্ত্রী নিজেই তামাক পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। এভাবে দাম বাড়িয়ে তামাক কোম্পানিকে তিনি মুনাফার একটা সুযোগ করে দিচ্ছেন। কর যদি আরোপই করতে হয়, এমনভাবে করেন যেন সরকার শতভাগ কর পায়। সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ে।

এ বিষয়ে সংসদে অর্থমন্ত্রীর কাছ থেকে ব্যাখ্যা দাবি করে তিনি বলেন, তামাক পণ্য থেকে আমরা পাই ২২ হাজার কোটি টাকা। ব্যয় হয় ৩০ হাজার কোটি টাকা। একটা সারচার্জ আদায় হয়, এই সারচার্জ ৩০০ কোটি টাকা, এর মধ্য থেকে মাত্র ৯ কোটি টাকা আসে এই তামাককে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য।  তামাকের কারণে বর্তমানে আমরা জিডিপির ২ শতাংশ হারাচ্ছি। এইভাবে চলতে থাকলে ২০৫০ সালে আমরা ৯ শতাংশ হারাব। সুতরাং আসলে এটা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা যদি আমাদের গ্রোথটাকে ধরে রাখতে চাই, তাহলে এক্ষেত্রে আরও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য কেবল বাংলাদেশ নয়, সারা পৃথিবীর জন্য এক অস্তিত্ব সংকট। বাংলাদেশ ভবিষ্যতে কতটুকু এগিয়ে যেতে পারবে, তা নির্ভর করবে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি কীভাবে মোকাবিলা করছি এর ওপর। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ, এই অর্থবছরের বাজেটে ৩৭ হাজার কোটি টাকার একটি বাজেট বরাদ্দ দিয়েছেন। সরকারের ২৫টি মন্ত্রণালয় এই বরাদ্দ ব্যয় করবে। আজ থেকে ১৩ বছর আগে ২০১০ সালে যখন কেউ জলবায়ু নিয়ে কথা বলত না, তখন বাংলাদেশ তার নিজস্ব সম্পদ দিয়ে ক্লাইমেট ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে। একইভাবে কপ-২৭ এ লস এণ্ড ড্যামেজ-যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেটা নিয়ে আমরা অনেক বছর ধরে আন্দোলন করে চলেছি। সেটার একটি স্বীকৃতি আমরা পেয়েছি। তার পাশাপাশি মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারোটি প্ল্যান প্রণয়ন ও সিজিএফে ক্লাইমেট ভার্নালেবল ফোরামের নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় উন্নয়ন পরিকল্পনায় জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জের বিষয়টি বিবেচনায় রাখার আহ্বান জানান তিনি।