সরকার দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো নষ্ট করে দিয়েছে : আমির খসরু 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো সরকার নষ্ট করে দিয়েছে, বর্তমান সরকার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। অর্থনৈতিক অবকাঠামো ধ্বংস করা মানে একটি দেশের অবকাঠামোকে ধ্বংস করে দেয়া, যা এ সরকার করেছে। বর্তমান সরকার যে পন্থায় দেশের অর্থনীতি সামলাচ্ছে এটিকে আমি নাম দিয়েছি ‘আওয়ামী লীগ মডেল অব ইকনোমি। ইকোনমিক মডেল আপনি বিশ্বের কোথাও পাবেন না। এ মডেল হচ্ছে লুটপাট করে তাদের পকেট ভর্তি করার জন্য এবং বিদেশে টাকা পাচার করার জন্য। অর্থাৎ তাদের (আওয়ামী লীগ) সুবিধার্থে তারাই ইকনোমিক মডেল তৈরি করেছে।

সোমবার (১৯ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড পিস স্টাডিজ আয়োজিত মূল্যস্ফিতি ও বাজেটোত্তর অর্থনীতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করে ইবাইস ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. জাকারিয়া লিংকন। সভায় সভাপতিত্ব করেন গণমুক্তি জোটের চেয়ারম্যান ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ।

আমির খসরু বলেন, যারা সরকারকে ক্ষমতা থাকার জন্য সহযোগিতা করছেন তারাই মূলত এ বাজেটে প্রাধান্য পেয়েছে, এটি কোনো ব্যবসায়িক গ্রুপ হোক বা সরকারি কর্মকর্তা হোক কিংবা রাজনৈতিক ব্যক্তি হোক মোট কথা যারা এ সরকারকে জনগণ থেকে দূরে রেখে ক্ষমতা দখলের সহযোগিতা করছে তাদের কেন্দ্র করে এ বাজেট হয়েছে। দেশের এক শতাংশের নিচে মানুষ এ বাজেটে উপকৃত হয়েছে। এটি কোনো জনগণের বাজেট নয়। যারা নির্বাচিত নন যাদের জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহিতা নেই তারা কি বাজেট দিতে পারে। আর তাদের বাজেট তো জনগণ বন্ধ হবে না এটিই স্বাভাবিক। এটি নিয়ে কারো বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই, আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। এমনকি আমি নিজেও কোনো আশ্চর্য হয়নি। বাংলাদেশের বর্তমান যে অবস্থায় আছে এটিকেই দুর্ভিক্ষ বলা হয়, সানিমের রিপোর্টে দেখা যায় দেশের জনগণের একটি বড় অংশ একবেলা খেলে অন্য বেলা ধার করে খেতে হচ্ছে। অনেকে আজকে তাদের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ কমিয়ে, স্বাস্থ্য খরচ কমিয়ে খাবার জোগার দিচ্ছেন। এ দুর্ভিক্ষ আগের দিনের দুর্ভিক্ষের মতো নয়। বাংলাদেশের যে বর্তমান বিরাজমান অবস্থা এটিকেই দুর্ভিক্ষ বলে। আগে যেমন মানুষ না খেয়ে রাস্তায় মরে পড়ে থাকত, সেই দুর্ভিক্ষ এখন বিশ্বের কোথাও হয় না।