রহমত নিউজ ডেস্ক 15 June, 2023 10:01 AM
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্থনি জে ব্লিংকেনকে চিঠি লিখেছেন ছয় কংগ্রেসম্যান। চিঠিতে বাংলাদেশে ‘মানবাধিকার পরিস্থিতির ক্রমাবনতি হচ্ছে’ জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তাঁরা। গত ৮ জুন মার্কিন কংগ্রেসের ওই ছয় সদস্য চিঠিটি লেখেন।
মঙ্গলবার কংগ্রেসম্যান বিল কিটিং টুইটে চিঠিটি শেয়ার করলে বিষয়টি সামনে আসে।
বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা দানকারীদের জন্য ভিসা না দেয়ার ঘোষণার পাশাপাশি আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে মার্কিন সরকার আর কী পদক্ষেপ নিচ্ছে– চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়। এতে স্বাক্ষরকারী কংগ্রেস সদস্যরা হলেন– উইলিয়াম আর কেটিং, জেমস পি ম্যাকগোভেন, বারবারা লি, জিম কস্টা, ডিনা তিতাস ও জেমি রাস্কিন। কংগ্রেসম্যান বিল কিটিং টুইটে এ চিঠি শেয়ার করলেও এর নিচে তাঁর সই নেই। তবে চিঠির বক্তব্যের সঙ্গে তিনি সংহতি প্রকাশ করেন।
চিঠিতে তাঁরা বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন’-এর জবাবদিহি নিশ্চিত করার বিষয়ে অব্যাহতভাবে চাপ প্রয়োগ করতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ও যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য সংস্থার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারকে বারবার চাপ প্রয়োগ করতেও চিঠিতে আহ্বান জানানো হয়। আসন্ন নির্বাচনগুলো সামনে রেখে এটা ‘বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ’ উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশে ইতোমধ্যে গণপ্রেপ্তার এবং বিরোধী দলগুলোর বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, যা ভোটের ফলকে প্রভাবিত করতে পারে এবং সামাজিক সংঘাতকে বাড়াতে পারে।
মানবাধিকার সংস্থা অধিকার-এর ২০২২ সালে বার্ষিক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে চিঠিতে বলা হয়, ওই বছর ৩১টি বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা ঘটেছে; গুমের ঘটনা ২১টি; কারাগারে মৃত্যু হয়েছে ৬৮ জনের এবং সাংবাদিকদের ওপর বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হামলার ঘটনা ১৮৩টি। তবে অব্যাহতভাবে বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি অস্বীকার করে গেছেন। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এবং প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র মূল্যায়ন করে। সেই সঙ্গে ২০২৩ সালের গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ না জানানো একটি পরিষ্কার বার্তা বহন করে, তা হলো– ২০২৪ সালের নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার চ্যালেঞ্জকে স্বীকৃতি দিচ্ছে পররাষ্ট্র দফতর।
চিঠিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনে পররাষ্ট্র দপ্তরের পদক্ষেপ জানতে চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সুশীল সমাজ, মানবাধিকার সুরক্ষা কর্মীদের পক্ষে কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগে ‘বাংলাদেশের জনগণকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সর্বোত্তম সুযোগ করে দিতে’ জরুরি উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চিঠি দিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের ৬ সদস্য। তবে ব্লিংকেনের কাছে চিঠি লিখেছেন অন্য ৬ জন কংগ্রেসম্যান।