| |
               

মূল পাতা জাতীয় বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী


বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী


রহমত নিউজ ডেস্ক     05 June, 2023     09:21 AM    


পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো, শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের জন্য মেধাস্বত্বের (আইপি) প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। এলডিসি-পরবর্তী যুগের চ্যালেঞ্জ  মোকাবেলায় মূল্য সংযোজন, বৈচিত্রীকরণ এবং নতুন বাজারে প্রবেশ বাড়াতে আইপি-এর শক্তির ওপর বিশেষ জোর দিয়ে এসএমইগুলির জন্য লক্ষ্যযুক্ত সহায়তা প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ।

রবিবার (৪ জুন) ঢাকার একটি হোটেলে ‘উৎপাদনের মূল্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তাদের দ্বারা মেধাস্বত্ব সরঞ্জামের ব্যবহার’ শীর্ষক প্রকল্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউআইপিও) ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল হাসান ক্লেইবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার জন্য মেধাস্বত্ব অধিকার রক্ষা করা জরুরি। নারী মালিকানাধীন ব্যবসা এক্ষেত্রে বিশেষ মনোযোগের দাবি রাখে এবং সরকার এ খাতের উন্নয়নে অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবন রক্ষায় আমরা সম্প্রতি গৃহীত বাংলাদেশ পেটেন্ট আইন ২০২২ এবং উদ্ভিদের জাত সুরক্ষা আইন-২০১৯ সহ বাংলাদেশে আইপিকে সুরক্ষা দেয়, এমন একাধিক আইন প্রণয়ন করেছি।সম্প্রতি বাংলাদেশ নকশা আইন-২০২৩ জাতীয় সংসদে উপস্থাপন হয়েছে। এই ধরনের আইনি ব্যবস্থার অধীনে, বাংলাদেশে পেটেন্ট এবং ডিজাইনের জন্য আইপি নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। আইপি সম্পদের সুরক্ষা, ব্যবহার এবং ব্যবস্থাপনাকে অগ্রাধিকার দিয়ে বাংলাদেশ জ্ঞান, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনের শক্তির ওপর নির্মিত একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে পারে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে জনগণকে দক্ষতা ও জ্ঞানে সজ্জিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

ডব্লিউআইপিওকে এই প্রকল্প চালু করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের অমূল্য সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি আশা করি, প্রস্তাবিত প্রকল্পটি নারী উদ্যোক্তাদের পণ্যের ব্র্যান্ডিং এবং প্যাকেজিং উন্নত করতে আইপি টুলস, বিশেষ করে ট্রেডমার্ক এবং শিল্প নকশাগুলোকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে সহায়ক হবে, যা শেষ পর্যন্ত পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের প্রবেশকে সহজতর করতে সহায়তা করবে। একসাথে তারা এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে পারেন, যেখানে নারী উদ্যোক্তারা উন্নতি লাভ করবেন, উদ্ভাবন বিকাশ লাভ করবে এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন সবার জন্য বাস্তবে পরিণত হবে।এসএমই বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদ- এবং বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে এর অবদান অমূল্য। বর্তমানে, এসএমই দেশের শিল্প ইউনিটের ৯০% এরও বেশি এবং উৎপাদনে মূল্য সংযোজনে ৪৫% অবদান রাখে। দেশে মোট এসএমই’র সংখ্যা ৭.৯ মিলিয়ন এবং এই খাতে প্রায় ২৪ মিলিয়ন লোক নিয়োজিত। দেশের মোট জনবলের ৩০% এখাতে নিযুক্ত এবং জিডিপিতে তাদের অবদান ২৫%-এ পৌঁছেছে। প্রত্যক্ষ প্রভাব ছাড়াও, এসএমই বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবার সরবরাহ চেইনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।