‘সিগারেটের ধোঁয়ায় ৭৩৬৫ রকমের রাসায়নিক থাকে’

জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ উপদেষ্টা কমিটি ও জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্সের সদস্য এবং মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা-মানসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রফেসর ডা. অরূপ রতন চৌধুরী বলেছেন, ধোঁয়াযুক্ত তামাকের ব্যবহারে যিনি সরাসরি খাচ্ছেন তার চেয়ে তার আশপাশের পরোক্ষভাবে ধোঁয়া গ্রহণকারী মানুষেরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। মহিলাদের স্তন ক্যান্সার এবং শিশুদের নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস ও হুপিং কাশির অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে পরোক্ষ ধূমপান।  সিগারেটের ধোঁয়ায় ৭ হাজার ৩৬৫ রকমের রাসায়নিক থাকে। যার মধ্যে ৭০টি রাসায়নিক কারসিনোজেনিক (মানবদেহে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে এমন) রয়েছে।

আজ (২৮ মে) রবিবার পিকেএসএফ ভবনে ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০২৩’ উপলক্ষ্যে তামাক বিরোধী জাতীয় প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারে সম্মাননীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। স্বাগত বক্তব্য দেন পিকেএসএফের সিনিয়র উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম তৌহিদ। সেমিনারে ‘টেকসই উন্নয়নে শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন : পরিপ্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রজ্ঞার হেড অব প্রোগ্রাম মো. হাসান শাহরিয়ার ও ‘তামাক নয়, খাদ্য ফলাও : পিকেএসএফের প্রচেষ্টা’ শীর্ষক উপস্থাপনা প্রদান করেন পিকেএসএফের পিপিইপিপি প্রকল্প পরিচালক  ড. শরীফ আহম্মদ চৌধুরী। এছাড়া অনুষ্ঠানে ‘কৃষি জমিতে আর নয় তামাক’ শীর্ষক একটি প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিতকরণ এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে অন্যতম একটি অন্তরায় তামাক। তামাক ব্যবহারের জন্য দেশে তামাকজনিত অসংক্রামক রোগ এবং এর ফলে অপরিণত বয়সে মৃত্যু আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তামাক সেবনজনিত রোগের চিকিৎসা বাবদ একদিকে যেমন সরকারকে স্বাস্থ্যখাতে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। অন্যদিকে তামাক চাষের ফলে উর্বর জমিতে খাদ্যশস্য চাষের সুযোগ কমে যাচ্ছে।