‘মোখা’ মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা.মো. এনামুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’মোকাবিলায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতিনেওয়া হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কক্সবাজারের ১ হাজার ৬০০ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। সেখানে এখন পর্যন্ত ১৪ টন শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে।

আজ (১৩ মে) শনিবার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলার প্রস্তুতি নিয়ে এক সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, পূর্বাভাস অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টি আগামীকাল সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে আঘাত হানতে পারে। এখনও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এটা যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে, আশঙ্কা করছি, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় আঘাত হানবে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, ভোলা ও বরগুনাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির এখন আর সুপার সাইক্লোন হওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই, আজ শনিবার সকাল থেকে বাতাসের গতিবেগ কমে এসেছে। তবে এর প্রভাবে কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে ছয় থেকে ৯ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এছাড়া ভোলা ও বরগুনায় ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের গতিবেগ কমে এখন ১৫০ থেকে ১৬০ হয়েছে। এখন এটাকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বলা হয়েছে।