রহমত নিউজ ডেস্ক 13 May, 2023 09:26 PM
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ বলেছেন, বর্তমান সরকার দেশের সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ক্রমান্বয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে। নির্বাচন কি জিনিস এটা জানতে নতুন প্রজন্মকে কিছু দিনের মধ্যে হয়তো জাদুঘরের যেতে হবে। বিগত ১০/১৫ বছরের নতুন ভোটারদের অনেকেই এখনও কোন ভোট-ই দিতে পারেনি। বিগত দিনগুলোতে সরকারের তল্পিবাহক নির্বাচন কমিশনগুলো নির্লজ্জভাবে সরকারের পদলেহন করতে গিয়ে দেশের এতো বড় সর্বনাশ করেছে। এদেশের নির্বাচন ব্যবস্থার উপর সাধারণ মানুষের সামান্যতম আগ্রহ এখন আর দেখা যায় না। এখন সুযোগ এসেছে নির্বাচন কমিশনের আস্থা অর্জন করার। তারা চাইলে সিটি নির্বাচনগুলো স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে করে জনগণকে আবারো নির্বাচনমুখী করতে পারে। জাতীয় নির্বাচনের আগে এটাই নির্বাচন কমিশনের শেষ সুযোগ। এ সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যার্থ হলে, দেশ এক মহাসংকটে পড়বে। এর দায় নির্বাচন কমিশন ও সরকারকেই বহন করতে হবে।
আজ (১৩ মে) শনিবার বিকালে রাজধানীর ভাটারাস্থ আসসাঈদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত নগর ও থানা দায়িত্বশীলদেরকে নিয়ে দিনব্যাপী ‘প্রশিক্ষণ কর্মশালা’য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের তিনি এসব কথা বলেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব ও নগর উত্তরের সভাপতি প্রিন্সিপাল শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন যুগ্ম মহাসচিব ও ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, মাও. নুরুল ইসলাম নাঈম, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, হাসমত আলী, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, শাইখুল হাদীস সিরাজুল ইসলাম, মুফতী মাছউদুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, ডাঃ মুজিবুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দীন পরশ প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে নগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটারগণ যদি স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারে, তবে প্রহসনের নির্বাচন করার দায়ে নির্বাচনে ব্যয় হওয়া যাবতীয় টাকা নির্বাচন কমিশনারদেরকে জরিমানা হিসেবে দিতে হবে এবং ব্যার্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করতে হবে।