রহমত নিউজ ডেস্ক 03 May, 2023 09:52 PM
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন-ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, নতুন অবকাঠামো নির্মাণ এবং বিদ্যমান অবকাঠামোর সংস্কার ও উন্নয়নের ফলে ঢাকাবাসী সুফল পাওয়া আরম্ভ করেছে, এর ফলে গতবছর সিত্রাং ঘূর্ণিঝড়ের পরেও ঢাকা শহর কোনোভাবেই তলিয়ে যায়নি। আমরা ঢাকাবাসীকে পূর্ণভাবে জলমগ্নতা থেকে মুক্ত রাখতে পেরেছি। সিত্রাং ঘূর্ণিঝড়ের পরে মাত্র নয়টি জায়গায় কিছু সময় পানি জমেছিল। সুতরাং আমাদের এই ব্যাপক কার্যক্রম এখন ফলপ্রসূ। ঢাকাবাসী এর সুফল পাওয়া আরম্ভ করেছে। আমাদের কার্যক্রম চালমান রয়েছে।
আজ (৩ মে) বুধবার রাজধানীর কলাবাগানের ভূতের গলি এলাকায় নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি ‘মেহেরুন্নিসা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের আইসিটি ভবন উদ্বোধন ও শহীদ শামছুন্নেছা আরজু মণি শিক্ষা বৃত্তি প্রদান’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, কর্পোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যস্থাপক মো. হায়দর আলী, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম বাবুল, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর নারগীস মাহতাব উপস্থিত ছিলেন।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আসন্ন বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে জ্বলাবদ্ধতা নিরসনে আমাদের ব্যাপক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ২০২০ সালে আমরা যখন দেখলাম, মাঝারি বৃষ্টিতেই ঢাকা শহরের ৭০ ভাগ তলিয়ে যায় তখন প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় স্থানীয় সরকার বিভাগের মাধ্যমে খালগুলো এবং সকল নর্দমা অবকাঠামো আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর থেকে নিজস্ব অর্থায়নে আমরা বিশাল কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা খালগুলো এখন নিয়মিতভাবে জানুয়ারি মাস থেকেই পরিষ্কার করি। নর্দমাগুলো মার্চ থেকে শুরু করে জুনের আগেই পরিষ্কার সম্পন্ন করি। এছাড়াও নির্দিষ্ট যে সকল জায়গায় আমরা জলবদ্ধতা পেয়েছি, যেগুলো সংকটপূর্ণ এলাকা -সেরকম ১৩৬টি জায়গায় আমরা অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ করেছি, সংস্কার করেছি। ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছি।